মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে স্থল ও সমুদ্রসীমা নির্ধারণের পর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ফলে লোএখনই পারস্পরিক ব্যবসা-বাণিজ্য এবং একসাথে কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ
।
তিনি বলেন, আমরা স্থাপন করতে চাই প্রতিবেশী দেশগুর সাথে এমন সম্পর্ক যা আমাদের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করবে, পাশপাশি ছোট-বড় সবদেশ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বসহ মর্যাদা নিয়ে থাকতে পারে।
আজ বিকেলে বাংলাদেশ ফেডারেশন অব চেম্বারস অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) প্রদত্ত সংবর্ধনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বে ১৯৭৪ সালের ঐতিহাসিক মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির আলোকে স্থল সীমান্ত চুক্তি ভারতের অনুমোদ ও দুই দেশের সীমান্তের উভয় পাশে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘদিনের সমস্যা লাঘবের জন্য তাঁকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহমেদ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
স্থল সীমান্ত চুক্তিকে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিটি দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মাইল ফলক। এই চুক্তিটি ছিটমহলবাসীর ৬৮ বছরের বঞ্চনার অবসান ঘটাবে এবং তাদের উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।
এই চুক্তিটি প্রতিবেশীদের সাথে আরও উন্নত যোগাযোগ স্থাপন, বাণিজ্যিক সুবিধা এবং একই সাথে উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের সামর্থ্যকে আরও বৃদ্ধি করবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যকে আরও সহজ করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ী সমাজকে প্রতিবেশী দেশের সাথে বিদ্যমান সুসম্পর্কে কাজে লাগাতে এবং দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে একসাথে কাজ করার আহবান জানান।
গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি সহ প্রতিবেশী দেশের সাথে বিদ্যমান সব সমস্যা সমাধানে সরকারের উদ্যোগের করা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে তাঁর সরকারকে বহু প্রতিবন্ধকতা ও কুচক্রি মহলের অপপ্রচার মোকাবিলা করতে হয়েছে।
২০১১ সালে স্থল সীমান্ত চুক্তি সংক্রান্ত প্রটোকল স্বাক্ষরের পর- ভারতের কাছে সরকার সব স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছে বলে বিএনপি’র অপপ্রচারের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ওইসব সাফল্য সহজে আসেনি।’
শেখ হাসিনা বলেন, একইভাবে বিএনপি ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির বিরোধীতা করেছিল এবং বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণের দিন তারা চট্টগ্রামে হরতাল দিয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী স্থল সীমান্ত চুক্তি সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করার জন্য ভারতের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভা ও নিম্নকক্ষ লোকসভার সকল সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।
২১ মে ২০১৫/ নিঝুম