বিশ্বে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে বিশ্ব অর্থনীতির ইতিহাসে নতুন নজির স্থাপন করেছেন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইলন মাস্ক। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ৪০ হাজার কোটি বা ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার কোম্পানি টেসলা এবং স্পেসএক্সের বাজারমূল্যের দ্রুত বৃদ্ধিই এ মাইলফলক অর্জনে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।
তবে ফোর্বস সাময়িকীর আলাদা এক হিসেবে মাস্কের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তার পরেই রয়েছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস, যার মোট সম্পদ বর্তমানে ২ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। তৃতীয় অবস্থানে আছেন ওরাকলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসন, যার সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৩০ কোটি ডলার।
ইলন মাস্কের এই বিশাল সম্পদ বৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে—টেসলার শেয়ারমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: গত কয়েক মাসে টেসলার শেয়ারমূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বর্তমানে টেসলার বাজারমূল্য প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ বা ১.৩১৫ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
স্পেসএক্সের মূল্যায়ন বৃদ্ধি: সাম্প্রতিক শেয়ার লেনদেনে স্পেসএক্সের বাজারমূল্য ৩৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। মাস্কের ৪২ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধি তার সম্পদে সরাসরি প্রভাব ফেলেছে।
এক্সএআইয়ের অগ্রগতি: ইলন মাস্কের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআইয়ের বাজারমূল্য দ্বিগুণ হয়ে বর্তমানে পাঁচ হাজার কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
ইলন মাস্কের সম্পদ বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে তার রাজনৈতিক সক্রিয়তাও। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আবার নির্বাচিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এবারের নির্বাচনী প্রচারণায় ইলন মাস্কের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে মার্কিন বাজার পরিস্থিতি তার ব্যবসায়িক স্বার্থের পক্ষে সহায়ক হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।