মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগ দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকার কারণে হট্টগোল করতে শুরু করেন কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। রোববার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকায় হট্টগোলের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আউটসোর্সিংয়ে জনবল নিয়োগের একটি টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন ছিল আজ। আমরা যথারীতি টেন্ডার ওপেন রেখেছি, একটি বক্সে সেটি ড্রপ করার প্রক্রিয়া ছিল। কিন্তু কেউ কেউ টেন্ডার ড্রপ করতে ঢুকতে পারছিল না এমন কথা বলে মেইন গেইটে হট্টগোল শুরু করে। পরে আমি মেইন গেইট ক্লিয়ার করার কথা বলি। পরে তারা ভেতরে এসেও হট্টগোল শুরু করে।
হট্টগোল যারা করছিল, তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা এসেছে তাদের আমি চিনি না। তবে একটি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দিচ্ছিল, কোনো রাজনৈতিক দল আমি বলতে চাচ্ছি না।
পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর দরপত্র খোলা হয় এবং এ সম্পর্কিত বৈঠকও হয় বলে জানান খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান।
হট্টগোলের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহায়তা চান। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অধিদপ্তরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ডিএমপির রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক বলেন, টেন্ডার ড্রপের জন্য নির্ধারিত সময় ১১টা পর্যন্ত ছিল বলে শুনেছি। এই সময়ে অনেকে টেন্ডার জমা দিতে না পারায় তারা ভেতরে ঢোকে। কিন্তু তাদের টেন্ডার জমা না নেওয়ায় ঝামেলা হওয়ার কথা শুনে আমরা যাই, সেনাবাহিনীও যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরও নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা ছিলেন। আমরা যাওয়ার পর তারা ডিজির কাছে রিটেন্ডার চেয়ে একটা লিখিত দিয়েছে। পরে সম্ভবত সবাই জমা দিতে পেরেছিল। বেলা আড়াইটার দিকে সবাই চলে গেলে পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসে। এরপর আমরাও চলে এসেছি।