muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

ভৈরব

ভৈরবে দুই শহীদ পরিবারের বাড়িতে শীতবস্ত্র নিয়ে গেলেন ইউএনও

ভৈরবে দুই শহীদ পরিবারের বাড়িতে শীতবস্ত্র নিয়ে গেলেন ইউএনও

সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদ জুবায়ের ও কবিরের বাড়িতে শীত বস্ত্র নিয়ে গেলেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শবনম শারমিন। আজ সকালে তিনি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত জুবায়ের ও কবিরের পরিবারের লোকজনের হাতে এই শীতবস্ত্র তুলে দেন তিনি । এসময় ইউএনও শবনম শারমিনের দেয়া শীত বস্ত্র হাতে পেয়ে কান্নায় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন নিহত শহীদ পরিবারের স্বজনেরা। উল্লেখ্য :- ভৈরবে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত শহীদ জুবায়ের 'র মা হোসনে আরা বেগম ভৈরবের আগানগর ইউনিয়নের গোকুলনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার বিয়ে হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার সুলতানপুর এলাকায়। স্বামী ভিটেমাটিহীন হওয়ায় তিনি থাকেন বাবার বাড়িতে। তার দুই ছেলে জুবায়ের ও জুনায়েদ। স্বামী প্রায়ই অসুস্থ থাকেন, তেমন কোনো কাজ করতে পারেন না। তাই দুই ছেলেকে নিয়ে চরম অভাবে কাটছিল হোসনে আরার জীবন।জুবায়ের পড়াশোনায় বেশ ভালো। কিন্তু ক্লাস সেভেনের গণ্ডি পার হওয়ার পরই রোজগারের আশায় কাঠমিস্ত্রির কাজ শেখে। গত ৬ মাস আগে মা-বাবা ও ছোট ভাইকে নিয়ে ঢাকার শনির আখড়ায় চলে যায়। সেখানে একটি ফার্নিচারের কারখানায় ১২ হাজার টাকা মাসিক বেতনে কাজ শুরু করে। ঢাকায় কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে, জুবায়ের ছাত্রদের সঙ্গে যোগ দিতে থাকে। মা সেটি জেনে তাকে নিষেধ করেন। কিন্তু মায়ের নিষেধ সত্ত্বেও গত ৪ আগস্ট সে আন্দোলনে শরিক হয়। দুপুর বা বিকালে পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়।দুপুরে কাজ থেকে বাসায় ফিরে খেতে আসার কথা থাকলেও সে আসেনি। এতে দুশ্চিন্তা বাসা বাঁধে মায়ের মনে। তিনি অস্থির চিত্তে ছেলের খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাননি। পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছেলের লাশ খুঁজে পান। এছাড়া নিহত কবির ভৈরবের শিমুল কান্দি ইউনিয়নের মধ্যেচর গ্রামের বাসিন্দা। আদরের সন্তানদের হারিয়ে মানবেতর জীবন যাবন করছেন তাদের পরিবার।

Tags: