মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হত্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ। এরমধ্যে ছয় জন কারাগারে এবং ১৫ জন পলাতক রয়েছেন।
তবে চার্জশিটে কোনো অভিযুক্তের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা উল্লেখ করা হয়নি। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান গত ১ জানুয়ারি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বৃহস্পতিবার তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর শাহবাগ থানায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়।
ছয় আসামি হলেন- জালাল মিয়া, আহসান উল্লাহ ওরফে বিপুল শেখ, আল হোসেন সাজ্জাদ, মোত্তাকিন সাকিন সাহ, মো. সুমন মিয়া এবং ওয়াজিবুল আলম। এসব আসামিরা কারাগারে আছেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বাকি ১৫ আসামি হলেন- ফিরোজ কবির, আবদুস সামাদ, সাকিব রায়হান, ইয়াসিন আলী গাইন, ইয়ামুজ্জামান ইয়াম, ফজলে রাব্বি, শাহরিয়ার কবির শোভন, মেহেদী হাসান ইমরান, রাতুল হাসান, সুলতান মিয়া, নাসির উদ্দিন, মোবাশ্বের বিল্লাহ, শিশির আহমেদ, মহসিন উদ্দিন এবং আব্দুল্লাহিল কাফি পলাতক রয়েছে।
অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে ৩৫ বছর বয়সী তোফাজ্জল হোসেনকে নির্মমভাবে মারধর করার আগে, হামলাকারীরা চুরি যাওয়া মোবাইল ফোনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তার পরিবারের কাছ থেকে ৩৫ হাজার টাকা দাবি হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তোফাজ্জলের চাচা আব্দুর রব মিয়া টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে অভিযুক্তরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ওই ব্যক্তিকে ক্রিকেটের স্টাম্প এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে তার কাঁধ, পিঠ, পা এবং উরুতে বেধড়ক মারধর করে। গুরুতর আঘাত এবং রক্তক্ষরণের কারণে তোফাজ্জলের মৃত্যু হয়।