দাবি আদায় না হলে আগামী কয়েক ঘণ্টা পর কর্মবিরতিতে যাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে ২৮ ডিসেম্বর রাত ১২টার পরের শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলো চালাবে না রানিং স্টাফরা। ফলে সারা দেশে বন্ধ হতে পারে ট্রেন চলাচল। কিন্তু আন্দোলনের সময় শুরু হওয়ার পরও কিছু ট্রেন চালানো হবে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার পর এসব কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির একজন দায়িত্বশীল নেতা।
তিনি জানান, এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে হওয়া হয়নি। ফলে আজ রাত ১২টা থেকে আমরা ট্রেন চালাব না। ঊর্ধ্বতনদের আশ্বাসে আমরা বহুবার আন্দোলন থেকে সরে এসেছি। কিন্তু এবার আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
রাত ১২টার আগ পর্যন্ত যেসব ট্রেন ছেড়ে যাবে সেসব ট্রেনের ক্ষেত্রে কি করণীয়— জানতে চাইলে দায়িত্বশীল এই নেতা বলেন, আমরা কোনো সাধারণ যাত্রীকে কষ্ট দেব না। আজ রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত যেসব ট্রেন প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে, সেসব ট্রেনের প্রতিটি যাত্রীকে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে। তবে ওই ট্রেনগুলো গন্তব্য স্টেশনে পৌঁছানোর পর রানিং স্টাফরা কর্মবিরতিতে যাবেন। ফলে কর্মবিরতি রাত ১২টায় শুরু হলেও লাইনে থাকা কোনো ট্রেন যাত্রাবিরতি থাকা স্টেশন ছাড়া অন্য কোথাও না দাঁড়িয়ে গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছাবে।
জানা গেছে, মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন প্রদান এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। ফলে আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হতে পারে।
এদিকে ট্রেন চালানো বন্ধের হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের পার্সোনাল শাখা থেকে একটি সভার নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু সেই সভায় যোগ দেননি বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির নেতারা।