muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

ঢাকাকে গুঁড়িয়ে কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত বরিশালের

ঢাকাকে গুঁড়িয়ে কোয়ালিফায়ার খেলা নিশ্চিত বরিশালের

ঢাকাকে হারাতে মাত্র ৬.৩ ওভার খেলেছে বরিশাল।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) আগে ব্যাট করতে নেমে বরিশালকে মাত্র ৭৪ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ঢাকা। জবাব দিতে নেমে ৮১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে থাকতেই জয় তুলে নেয় বরিশাল।

এই সহজ জয়ে প্লে অফের প্রথম কোয়ালিফায়ার ম্যাচ খেলা নিশ্চিত হয়ে গেছে ফরচুন বরিশালের।

চলতি বিপিএলের ৩৮তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের সামনে খড়কুটোর মতো উড়ে গেছে ঢাকা ক্যাপিটালস। আর তাদেরকে উড়িয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে বরিশাল।

বুধবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকা ক্যাপিটালস থামে মাত্র ৭৩ রানে। জবাবে ৮১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।

এদিন মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ঢাকা ক্যাপিটালসকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় বরিশাল। আগে ব্যাট করতে নামা ঢাকার ওপেনার লিটন দাস ভালো শুরু পেলেও থেমেছেন অল্পতেই। ৮ বলে ১০ রান করে দলীয় ১৩ রানের মাথাতে বিদায় নেন লিটন।

আর লিটনের বিদায়ের পরই যেন মড়ক লাগে ঢাকার ইনিংসে। একের পর এক ব্যাটার এসেছেন আর আউট হয়েছেন। একই ওভারে তিনে নামা রিয়াজ হাসানের উইকেট হারায় ঢাকা। কিছুক্ষণ টিকে থাকলেও ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আউট হন ১৪ বলে ৭ রান করে।

যাতে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান তোলে ঢাকা ক্যাপিটালস। পাওয়ারপ্লে শেষেও চলেছে ব্যাটারদের আসা-যাওয়া। একের পর এক উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে যায় ঢাকা। কেউই খেলতে পারছিলেন না দায়িত্ব নিয়ে। তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়তে থাকে ঢাকার ইনিংস। ৪১ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে অল্পতেই অলআউটের ক্ষণ গুনতে থাকে ঢাকা।

তবে শেষ দিকে থিসারা পেরেরা এবং রনসফোর্ড বিটনের জুটিতে কিছু রান যোগ হয়। বিটন ১২ বলে ১০ রান করেন আর পেরেরা ১১ বলে ১৫ রান করে শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। এতেই ১৫.৩ ওভারে ৭৩ রান তুলে অলআউট হয় ঢাকা।

বরিশালের হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ নবী এবং তানভীর ইসলাম। ১টি উইকেট শিকার করেন জেমস ফুলার।

অল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তেমন বিপদে পড়তে হয়নি বরিশালকে। ওপেনিং জুটিতে অধিনায়ক তামিম ইকবাল এবং তাওহিদ হৃদয় মিলে তোলেন ২১ রান। ৯ বলে ১৫ রান করে আউট হয়েছেন হৃদয়। তিনে নেমে তামিমের সঙ্গে যোগ দেন ডেভিড মালান।

ব্যাট হাতে দারুণ সাবলীল ছিলেন তামিম ও মালান। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে জয়ের পথে এগোতে থাকে বরিশাল। ঢাকার বোলারদের কচুকাটা করে রান তুলতে থাকেন মালান ও তামিম। দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের বন্দরে।

তামিম কিছুটা দেখে খেললেও সেসবের ধার ধারেননি ডেভিড মালান। একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রকেটের গতিতে রান তুলতে থাকেন ইংলিশ ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে তাকে ভালোভাবে সঙ্গ দিয়েছেন তামিম ইকবাল। দুজনের যুগলবন্দিতে সহজ হয়েছে দলের জয়।

পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে হৃদয়ের উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান তুলে ফেলে ফরচুন বরিশাল, সেখানেই দলের জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। পরের ওভারেই জয়ের বাকি কাজটুকু সেরে ফেলেন মালান। ৬.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।

১৬ বলে ৩৭ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মালান। আর ১৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত ছিলেন তামিম।

৮১ বল এবং ৯ উইকেট হাতে রেখে হেসেখেলে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ফরচুন বরিশাল। এই জয়ে নিশ্চিত হয়েছে বরিশালের প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলা। তাদের প্রতিপক্ষ হওয়ার দৌড়ে আছে রংপুর রাইডার্স এবং চিটাগং কিংস।

ঢাকার হয়ে এদিন একমাত্র উইকেটটি তুলেছেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। বাকিরা হাত ঘোরালেও উইকেটের দেখা মেলেনি। তবে ম্যাচ সেরা হয়েছেন বরিশালের স্পিনার তানভীর ইসলাম। মাত্র ২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন তিনি।

Tags: