আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সাল থেকে গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবেন না তাবলীগের মাওলানা সাদ অনুসারীরা। এই শর্তে শেষবারের মতো ১৪ তারিখ থেকে ইজতেমার অনুমতি পেয়েছেন সাদপন্থীরা।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬ শাখার উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
উপসচিব আবু সাঈদ স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টঙ্গী ময়দানে আগামী বছর থেকে ইজতেমা এবং তাবলিগের কার্যক্রম না করার শর্তে এ বছর দ্বিতীয় পর্বে ১৪-১৬ ফেব্রুয়ারি সাদপন্থীরা বিশ্ব ইজতেমা করতে পারবেন।
এতে বলা হয়, তাবলীগ জামাত বাংলাদেশের (মাওলানা সা'দ সাহেবের অনুসারীগণ) বিশ্ব ইজতেমার ২য় পর্ব আগামী ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবার পর ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব ইজতেমা ময়দান প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করবেন।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, তবে তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ (মাওলানা সা'দ সাহেবের অনুসারীগণ) আগামী বছর থেকে তাদের বিশ্ব ইজতেমা ও তাবলীগি কার্যক্রম টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে করতে পারবেন না। এ শর্ত পূরণ সাপেক্ষে শুধুমাত্র ১৪ থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইজতেমা করতে পারবেন।
আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান শুরায়ী নেজামের নিকট হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয় প্রজ্ঞাপনে।
ভারতীয় উপমহাদেশে সুন্নি মুসলমানদের বৃহত্তম সংগঠন তাবলীগ জামাতের মধ্যে এই দ্বন্দ্ব প্রথম প্রকাশ্য রূপ পায় ২০১৭ সালের নভেম্বরে। ওই সময় তাদের মূল কেন্দ্র কাকরাইলে দুই দল কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়।
এর পর ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের আমীর শাহ আহমদ শফীর উপস্থিতিতে তাবলীগ জামাতের একাংশের এক সম্মেলন হয়। এতে সাদ কান্দালভীকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ করাসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।