মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট : পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, আসন্ন ঈদ-উল-আযহার আগে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোরবানির পশুবাহী ট্রাক থামানো যাবে না।
তিনি বলেন, ‘কারো বিরুদ্ধে ট্রাক থামানোর অভিযোগ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ রোববার বিকেলে পুলিশ সদরদপ্তরে সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘ঈদ উদ্যাপন নির্বিঘ করার লক্ষ্যে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ সময় কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সর্তক থাকতে হবে।’
ঈদে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশের সার্বিক সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। অপরিচিত কারো কাছ থেকে পানীয় ও খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি তিনি আহবান জানান। অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির অপতৎপরতা রোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন। তিনি এ ব্যাপারে জনগণকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন।
পুলিশ প্রধান আরও বলেন, ‘ঈদ-উল-আযহায় সড়ক এবং নৌ ও রেলপথের নিরাপত্তা, কোরবানীর পশু পরিবহন ও হাটের নিরাপত্তা, ঈদের জামাতস্থলের নিরাপত্তা, পশুর চামড়া পাচার রোধ, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সার্বিক বিষয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পশুরহাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন, পশুর হাট ইজারাদার কর্তৃক হাসিল হার প্রদর্শন, নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত হাসিল আদায় না করা, কোরবানির পশু ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পশুর হাটে জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন এবং যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। কোরবানির পশু পরিবহনে ব্যবহৃত নৌকা ও ট্রাকে চাঁদাবাজি রোধে পুলিশ ও অন্যান্য সংস্থার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।’