মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
বেওয়ারিশ কুকুরকে ভ্যাকসিন দিয়ে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলাকে জলাতঙ্কমুক্ত করা হয়েছে। ঢাকাস্থ মহাখালির সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের উদ্যোগে এবং নিকলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহযোগিতায় ২৩ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট শনিবার পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বেওয়ারিশ কুকুরকে জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। এখন থেকে এ উপজেলা জলাতঙ্কমুক্ত হলো।
জানা যায়, হাওর উপজেলা নিকলীতে বর্ষাকালে খোলা স্থান থাকে না বললেই চলে। ফলে জনপদে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত বেড়ে যায়। প্রতি বছর শিশু, বৃদ্ধসহ সহস্রাধিক গবাদি পশু, পাখি কুকুরের কামড়ের শিকার হয়। জলাতঙ্কের কারণে মৃত্যুও ঘটে।
প্রতি বছর এ উপজেলায় কুকুর নিধন জরুরি হয়ে ওঠে। বর্তমানে বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা বিবেচ্য বিষয়। তাই কুকুর নিধন না করে জলাতঙ্কমুক্ত করার ভ্যাকসিন দেয়ার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় নিকলীতে ৫ দিনের এই ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলে।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, মহাখালি থেকে নিযুক্ত এক্সপার্ট আমির হামজা জানান, আমাদের ওপর শতকরা কমপক্ষে ৮০টা কুকুরকে ভ্যাকসিন দেয়ার নির্দেশনা ছিলো। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করেছি।
তিনি আরো জানান, ভ্যাকসিন প্রাপ্ত কুকুরগুলিকে আমরা হাজার মাত্রার খুনি রং (লাল রঙ বিশেষ) দিয়ে চিহ্নিত করে দিয়েছি।
নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবদুল্লাহ আল শাফি বলেন, জলাতঙ্ক রোগি বাঁচানো কঠিন। লাখে একেকজন ভাগ্যক্রমে বেঁচে যায়। আক্রান্ত রোগি না দেখলে বুঝা যায় না কি কষ্ট। নিকলীতে বেওয়ারিশ কুকুর অন্যান্য এলাকা থেকে বেশিই দেখতে পাই। এখন থেকে নিকলীবাসী জলাতঙ্কমুক্ত হলো।