মেধা ও মননে সুন্দর আগামী' প্রতিপাদ্য শ্লোগানকে ধারণ করে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এর বাস্তবায়নে কৈশোর কর্মসূচি' করিমগঞ্জ উপজেলা কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে ফেব্রুয়ারী মাসব্যাপী, উপজেলার বারোটি কর্ম এলাকার মধ্যে এগারোটিতে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন করা হয়।।
২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার সকালে করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয় হল রুমে উপজেলার কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্যদের অংশগ্রহণে প্রবন্ধ-রচনা প্রতিযোগিতা ও কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের শতাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা। এর আগে মাসব্যাপি ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রিকেট ও পাঞ্জা খেলা (আর্ম রেসলিং) প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক জুনায়েদ আলম খান। সভাপতিত্ব করেন দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) কিশোরগঞ্জ-০২ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যাবস্থাপক মো. সজল মিয়া।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জনপ্রতিনিধি নার্গিস আক্তার ও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) করিমগঞ্জ শাখা ব্যাবস্থাপক আল আমিন, জাফরাবাদ ইউনিয়নের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার, কলেজ শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি স্বাধীন আহম্মেদ প্রমূখ।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন করিমগঞ্জ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও প্রভাষক সাইফুর রহমান।
সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় ছিলেন, কৈশোর কর্মসূচি' দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এর করিমগঞ্জ উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ জুয়েল খান।
কর্মসূচির আয়োজকরা জানান, কৈশোর মানবজীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময়ে কিশোর-কিশোরীদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন ঘটে। যে কারণে তাদের সচেতন ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে এ কর্মসূচির আয়োজন।
অতিথিরা ডিএসকে ও পিকেএসএফ কে ধন্যবাদ জানান কৈশোর কৈশোর কর্মসূচি আয়োজন করার জন্য। কিশোর কিশোরীদের মেধার পাশাপাশি শারিরীক উন্নতি হচ্ছে বলেও জানান। এছাড়াও এই রকম আয়োজন বেশি বেশি করার জন্য বলেন অতিথিরা।
এক প্রাণবন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কৈশোর কর্মসূচি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের এ আয়োজন।
কর্মসূচির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য-
সামাজিক সচেতনতামূলক ওরিয়েন্টেশনঃ
কিশোর-কিশোরী ক্ষমতায়ন প্রমিতমান পাঠ সামগ্রী'র অর্ন্তভুক্ত ১১টি মৌলিক বিষয়- জীবন দক্ষতা, নৈতি সুরক্ষা, শিশুর লালন-পালন, জেন্ডার সমতা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, খাদ্য ও পুষ্টি, মানববৈচিত্র, জরুরী অবস্থা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, জীবিকা অর্জনের দক্ষতা, তথ্য প্রযুক্তি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে বাল্য বিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং বিরোধী, মাদক বিরোধী, নারী, শিশু ও প্রবীণ বান্ধব পরিবার গড়ে তোলা ও বিভিন্ন অধিকার বি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্যানিটেশন বিষয়ে সচেতনতা তৈরী ইত্যাদি বিষয় গুরুত্ব সহকারে আলোচনা করা যেতে পারে যার মডিউল দেওয়া হয়েছে।
সফট স্কীল উন্নয়ন প্রশিক্ষণ (শুদ্ধ উচ্চারণ ও কবিতা আবৃত্তি/বক্তৃতা ইত্যাদি)
নেতৃত্ব উন্নয়ন ওরিয়েন্টেশনঃ উক্ত কর্মসূচির আওতায় সংগঠিত সদস্যদের মধ্যে ক্লাব ও সংগঠন তৈরী, নেতৃত্ব নির্বাচন প্রক্রিয়া, সুস্থ গণতন্ত্র চর্চা, দলী সহঅবস্থানমূলক মানসিকতার উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়সমূহ সম্পর্কে ধারণা দেয়া ও চর্চা করার ব্যবস্থা থাকবে। এ প্রেক্ষিতে, কিশোর-কিশোরীরা ক্লাব গঠন, আহবান ও পরিচালনা, সভার কার্যবিবরণী প্রস্তুত, বছরান্তে প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচন, নিজের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী প্রস্ফুটিত করা, নতুন নির্বাচিত। দায়িত্ব হস্তান্তর প্রক্রিয়া, দলের নেতৃত্বে দেয়া এবং দলীভাবে কাজ করার বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান লাভ করবেন।
সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কার্যক্রমঃ ম্যারাথন দৌড়, সাইকেল র্যালী, কৈশোর মেলা, সম্মাননা ও পুরস্কার প্রদান সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।