muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

সাগর-রুনি হত্যা মামলায় ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্তের স্বার্থে কারাগারে থাকা একাত্তর টেলিভিশনের সাবেক প্রধান প্রতিবেদক ফারজানা রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

রুপাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবেদনে উল্লেখ করেন।

আজ মঙ্গলবার আদালতে শেরে বাংলা নগর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজিজুল হক সম্প্রতি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদন করেন।

গত ৪ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম আবেদন মঞ্জুর করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি প্রদান করেন। এ মামলায় প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৫ এপ্রিল দিন ধার্য রয়েছে।

আবেদনে বলা হয়েছে, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যার সময় ফারজানা রুপা এটিএন বাংলা টেলিভিশনে রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। রুনির সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল এবং পারিবারিকভাবে ঘনিষ্ঠতা ও যাতায়াত ছিল। হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে তিনি টেলিভিশনে রিপোর্ট করেন মর্মে জানা যায়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এ হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোচিত এ হত্যা মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট আসামি আটজন। অন্য আসামিরা হলেন—বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুই মাসের বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।

এদিকে গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর এ হত্যা মামলার তদন্তের দায়িত্ব র‍্যাব থেকে সরিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে গঠিত একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্তের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

Tags: