লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ
সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য চাই পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার। তবে শুধু খাবারই যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে থাকতে হবে পুষ্টি, ভিটামিন, মিনারেল আরো অনেক কিছু। কখনো ভেবে দেখেছেন কী আপনি প্রতিদিন যে খাবার গ্রহণ করছেন তা থেকে আপনার শরীরের চাহিদা অনুযায়ী সব কিছু পাচ্ছেন কী না। আপনি যদি আপনার শরীরের চাহিদা মতো পুষ্টি, ভিটামিন না পান তাহলে আপনার অসুস্থ হয়ে পড়াটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।
শুধুমাত্র তিনবারের তালিকাভুক্ত খাবার খেলেই যে আপনার শরীরে সব পুষ্টি বাসা বাধবে তা নয়। এগুলোর অন্যতম উৎস হলো ফল। ফল হচ্ছে পৃথিবীর সব থেকে উত্তম খাবার। ফলের মাধ্যমে ক্ষুধাও নিবারণ করা যায় আবার পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিও পাওয়া যায়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ফল খাওয়া উচিত।
আমরা অনেকে ওজন কমানোর জন্য ডায়েট করি। আপনি কিন্তু ডায়েটেও ফল খেতে পারেন। অনেক চিকিৎসক বলেন, ডায়েটের জন্য ফলই সব থেকে ভালো। তবে এমন ফল খাওয়া উচিত যাতে কম ক্যালরি রয়েছে এবং পাশাপাশি যে ফল আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আমরা উপকারিতা না জেনে অনেক ফলই খাই প্রতিদিন। অনেক ফল আছে যেগুলো ডায়েটের সময় খাওয়া উচিত নয়। আজ আপনাদেরকে এমন কিছু ফল সম্পর্কে বলবো যা আপনি এমনি সময় তো খাবেনই আবার ডায়েটে অবশ্যই এই ফলগুলো রাখবেন। এই ফলগুলো আপনার চুল এবং ত্বকের জন্যও বেশ ভালো। তবে চেষ্টা করবেন তাজা ফল খাওয়ার।
নাশপাতি
অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের মাধ্যমে আমাদের দেহ কোষের যে ক্ষতি হয় নাশপাতি তা রোধ করে। গলার প্রদাহ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
আপেল
বলা হয়ে থাকে প্রতিদিন একটি করে আপেল আপনাকে ডাক্তার থেকে দূরে রাখবে। আপেল একটি আঁশযুক্ত ফল এবং এতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। এটি ডায়েটের জন্য খুবই ভালো। আপনি যদি প্রতিদিন খাওয়ার আগে একটি করে আপেল খান তাহলে আপনার ক্যালরি গ্রহণের পরিমাণ প্রায় ১৫% কমে যায়।
কলা
কলা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে, হাড় ক্ষয় রোধ করে এবং বিষন্নতা দূর করে। এছাড়া কলা মানসিক চাপ কমায়। প্রতিদিন তিন বার খাওয়ার পরে একটি করে কলা খেলে বুদ্ধিদীপ্তি বৃদ্ধি পায়।
পেঁপে
পেঁপে কোলেস্টেরল কমায়, ইমিউন সিস্টেম ঠিক রাখে, ব্যথা কমাতে সাহায্য করে, হজম শক্তি বাড়ায় এবং দৃষ্টি শক্তি রক্ষা করে।
তরমুজ
তরমুজ স্থুলতা, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ১ কাপ তরমুজে ৪৩ গ্রাম ক্যালরি, চর্বি ০ গ্রাম, ২ গ্রাম সোডিয়াম, ১১ গ্রাম কার্বোহাইড্রেড এবং ১ গ্রাম ফাইবার রয়েছে।
আম
আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং যকৃত ভালো রাখতে সাহায্য করে। এটি পোড়া দাগ এবং মশার কামড়ের দাগ সারাতে কাজ করে।
অ্যাভোকাডো
ভিটামিন ই, ডি, বি১, বি২, কে, পিপি এবং অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিডে ভরপুর এই ফলটি। এটি ত্বকের জন্য খুবই ভালো।
কিউই
কিউই ভিটামিন সি তে পরিপূর্ণ একটি ফল। এটি যোজক কলাকে শক্তিশালী করে এবং হার্টকে ভালো রাখে। ভালো ঘুমের জন্য কিউই দারুন উপকারী। এটি সময় ও বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে।
আনারস
আনারসকে প্রাকৃতিক ডেটক্স বলা হয়। এটি শরীর থেকে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া দূর করে, হজম শক্তি বাড়ায়, শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা দূর করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আঙ্গুর
আপনি ওজন কমাতে চাইলে আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালকায় আঙ্গুর ফল রাখতে পারেন। এটি কিডনি রোগ, হাপানি এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। ত্বকের যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে।
টমেটো
টমেটোকে আমরা সবজি হিসেবে খাই কিন্তু এটি এক ধরনের লেবু জাতীয় ফল। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, এ এবং কে রয়েছে। এটি ডায়াবেটিস রোধ করে, এটি হৃদযন্ত্র ভালো রাখে, নিম্ন রক্তচাপ এবং পাচক সংক্রান্ত সমস্যা সমাধান করে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ২৩-০৯-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব