muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড

৯৫ বছরে এমন ভূমিকম্প দেখেনি থাইল্যান্ড

থাইল্যান্ডে শুক্রবার (২৮ মার্চ) যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তা গত ৯৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূকম্পন ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির খনিজ সম্পদ বিভাগের মহাপরিচালক পিচিত সোমবাতম্যাক। ১৯৩০ সালের পর থাইল্যান্ডে আঘাত হানা এটিই সবচেয়ে বড় ভূকম্পন। ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৫০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

পিচিত জানান, রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৪ থেকে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার মধ্যে পরিমাপ করা এই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২০ মিনিটে আঘাত হানে। কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমারের মান্দালয় এলাকার সাগাইং ফল্টে, যা সাগাইং শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার এবং ব্যাংকক থেকে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্রের গভীরতা ছিল প্রায় ১০ কিলোমিটার।

ভূমিকম্পের ১২ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার একটি আফটারশক অনুভূত হয়। শক্তিশালী এই কম্পন থাইল্যান্ডের উত্তর, উত্তর-পূর্ব, পূর্ব এবং মধ্যাঞ্চলে, এমনকি ব্যাংককেও অনুভূত হয় বলে জানিয়েছেন পিচিত।

শক্তিশালীয় এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে থাইল্যান্ডের বিভিন্ন প্রদেশে, যার মধ্যে রয়েছে চিয়াং মাই, চিয়াং রাই, তাক, মে হং সন, লামফুন, লাম্পাং, ফিৎসানুলোক, খন কায়েন, নাখন রাতচাসিমা, উডন থানি, উবন রাতচাথানি, চোন বুরি, সোপান বুরি, কানচানাবুরি, নাখন সাওয়ান, রাতচাবুরি, লোপ বুরি, নাখন নায়োক এবং ব্যাংকক ও এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল।

এ অবস্থায় জনগণকে সতর্ক থাকতে এবং যেকোনো পরবর্তী ভূমিকম্প বা আফটারশকের বিষয়ে সরকারি গণমাধ্যমের খবর পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিয়েছে থাই কর্তৃপক্ষ।

এদিকে, ব্যাংককে ভূমিকম্পে ভবন ধসের ঘটনায় নিখোঁজ শ্রমিকের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৭০ জন হয়েছে। থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ইমার্জেন্সি মেডিসিন বলছে, নির্মাণাধীন ৩০ তলা ভবন ধসের ঘটনায় আগে যেখানে ৪৩ জন নিখোঁজ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেটি আরও বেড়েছে।

ধসের সময় সেখানে প্রায় ৩২০ জন কর্মী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে ২০ জনের মতো লিফটে আটকা পড়েন।

ওই ভবনের নিচে চাপা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা এখনো অস্পষ্ট। উদ্ধারকারীরা জীবিতদের সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কারণে ঘটনাস্থলে একটি অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে।

Tags: