ক্রীড়া ডেস্কঃ
প্রতিটি দিন কেটেছে অনিশ্চয়তা আর শঙ্কায়। প্রতিটি রাত কেটেছে নির্ঘুম। মাঝে মঝে নিজের কাছেই মিইয়ে যেতেন নিজে। সেই অসহ্য দিন-রাত্রির সমাপ্তি। বোলিংয়ের নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেয়ে উচ্ছ্বসিত তাসকিন আহমেদ।
গত ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি। শুক্রবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে, দুজনের অ্যাকশনই বৈধ প্রমাণিত হয়েছে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৩ জনের স্কোয়াডে না থাকলেও ফলাফল ইতিবাচক হবে ধরে নিয়েই তাসকিনের জন্য একটি জায়গা ফাঁকা রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দলের সঙ্গে অনুশীলনও করেন তিনি।
নিষেধাজ্ঞা মুক্তি খবর পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই তাসকিন ছিলেন আত্মহারা। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি জানালেন নিজের অনুভূতি।
“অনেক খুশি। টেস্টের পর সত্যি বলতে একদিনও ঘুমাতে পারিনি ঠিকমত। নিষিদ্ধ হওয়ার পর বাইরে গেলে, এমনকি নিজের কাছেও অনেক ছোট মনে হচ্ছিল নিজেকে। আল্লাহর রহমতে আজকে অনেক বড় দিন আমার জন্য। কদিন আগে ঈদ গেল। তার চেয়েও খুশির দিন মনে হচ্ছে আজ।”
তরুণ ফাস্ট বোলার জানালেন, নিষেধাজ্ঞা থকে মুক্তির খবর পাওয়ার পর প্রথমেই তা জানিয়েছেন বাবা-মাকে।
“জানার পর বাবা-মাকে ফোন দিয়েছি। দুজনই খুব খুশি, খুব টেনশনে ছিলেন তারা। অনেক দিন পর বাবা-মা মন খুলে হাসতে পারছেন।”
তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে কাজ করেছেন যিনি, বিসিবির কোচ মাহবুব আলি জাকির প্রতি তাসকিন জানিয়েছেন কৃতজ্ঞতা।
“জাতীয় দলের কোচিং স্টাফ সবাই খুব সহায়তা করেছেন। জাকি স্যারকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ। উনি আমার সঙ্গে ৫ মাস লেগে ছিলেন। আমার ঘরে ৬ ফুটের একটা আয়না সেট করে দিয়েছিলেন তিনি যেন নিজের অ্যাকশন দেখতে পারি। এছাড়া সব কোচকে ধন্যবাদ।”
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ২৩-০৯-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব