মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্টঃ
‘এ জেড এম আবদুল আলীকে আমি খোকন নামেই চিনতাম। তিনি সম্পূর্ণ ও সফল জীবন যাপন করে গেছেন। এখানে শোকের কিছু নেই। বরং তাঁর জীবনের জয়গান করা উচিত।’
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট কলাম লেখক এ জেড এম আবদুল আলীর স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এসব কথা বলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে সাহিত্য পত্রিকা ‘কালি ও কলম’ এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভার শুরুতে আবদুল আলীর স্মৃতিচারণা করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী ও আবদুল আলীর ভাগনি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। স্মৃতিচারণার সময় তিনি গান পরিবেশন করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলা ও ইংরেজিতে সমান দক্ষতা ছিল আবদুল আলীর। এ ধরনের দক্ষতা এখনকার দিনে বেশি মানুষের মধ্যে পাওয়া যায় না। তিনি ছিলেন বন্ধুবৎসলও।
বিশেষ অতিথি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, আবদুল আলীর মৃত্যুতে গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। এ শূন্যতা কাটিয়ে উঠতে হবে। এ জন্য তাঁকে বেশি করে স্মরণ করতে হবে এবং তাঁর লেখা নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, ‘আবদুল আলীর মৃত্যুতে আমাদের ৬৫ বছরের বন্ধুত্বের অবসান হয়েছে। তাঁর কারণেই আমার ইংরেজি সাহিত্য পাঠ শুরু হয়। আলী গান গাইতেন। তাঁর শিক্ষক হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি রেলওয়ের অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা হলেন।’ তিনি বলেন, আবদুল আলী বই পড়তে ভালোবাসতেন। তিনি বন্ধুবৎসল ছিলেন। কলাম লেখার মধ্য দিয়ে তিনি এক নতুন পরিচয়ে আবির্ভূত হন। কলামে গণতন্ত্রের পক্ষে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে লেখালেখি করেছেন।
সংগীতসহ বিভিন্ন বিষয়ে আবদুল আলীর আগ্রহ ছিল। তিনি প্রথাগতভাবে কলাম লিখতেন না। যুক্তি-তর্ক দিয়ে কোনো কিছু প্রতিষ্ঠা করতে হলে, তিনি তা খুব ভালোভাবেই করতেন। কলামের বাইরেও সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়েও তাঁর অনেক লেখা আছে। তা নিয়েও বই প্রকাশ করা উচিত।
আবদুল আলীর ছেলে কানাডার পেরিমিটার ইনস্টিটিউট ফর থিউরেটিক্যাল ফিজিকসের শিক্ষক ড. তীব্র আলী বলেন, ‘গান ও রবীন্দ্রনাথের প্রতি বাবার ভালোবাসা ছিল সীমাহীন। তিনি একবার বলেছিলেন, অন্য কিছু না করে তিনি শুধু গান করতে পারলেই খুশি হতেন।’
সভায় বাংলা বিভাগের শিক্ষক মুহাম্মদ সামাদ, সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন। স্মরণসভা শেষে অদিতি মহসিন, ইফাত আরা দেওয়ান, বুলবুল ইসলাম ও শামা রহমান সংগীত পরিবেশন করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ২৩-০৯-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব
 
            
            
                