অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন। প্রাথমিক প্রতিবেদন দেওয়ার প্রায় দুই মাস পর তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিলো।
রোববার (২০ এপ্রিল) বিকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার হাতে প্রতিবেদনটি তুলে দেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রস্তাব প্রণয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদকে প্রধান করে এই সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। এই অধ্যাপকের নেতৃত্বে কাজ করেছেন সাত সদস্য।
এই কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফেরদৌস আরফিনা ওসমান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, বিআইএসএস’র পরিচালক ড. মাহফুজ কবির, নারী উদ্যোগ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক মাশহুদা খাতুন শেফালী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. তারিকুল ইসলাম, লেখক ও মানবাধিকার কর্মী ইলিরা দেওয়ান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম।
২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের হাল ধরা অন্তর্বর্তী সরকার দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে রাষ্ট্রের বিভিন্ন খাত সংস্কারের উদ্যোগ নেয়।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রথম ধাপে গঠিত ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। কমিশনগুলো হলো: সংবিধান সংস্কার, বিচার বিভাগ সংস্কার, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার, জনপ্রশাসন সংস্কার, পুলিশ সংস্কার ও দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার।
দ্বিতীয় ধাপে গঠিত পাঁচটি কমিশন হচ্ছে: স্বাস্থ্যখাত সংস্কার, শ্রম সংস্কার, নারী বিষয়ক সংস্কার, স্থানীয় সরকার সংস্কার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
এসব কমিশনকে ৯০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়ে প্রথমে ৩১ মার্চ এবং দ্বিতীয় দফায় ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়।
কমিশনগুলোর মধ্যে স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা পড়ে ২২ ফেব্রুয়ারি।