মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডেস্কঃ
জঙ্গি দমন এবং দুর্নীতি ও ক্ষমতাবাজি বন্ধ করতে একটি বড় হাতিয়ার হিসেবে তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
‘তথ্য পেলে মুক্তি মেলে-সোনার বাংলার স্বপ্ন ফলে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামীকাল ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার সচিবালয়ের তথ্য অধিদফতর সম্মেলন কক্ষে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় তথ্য কমিশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে বদ্ধপরিকর এবং এখানে জঙ্গি-দুর্নীতি-ক্ষমতাবাজির কোন স্থান নেই।’
প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ, প্রধান তথ্য অফিসার এ কে এম শামীম চৌধুরী, তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার ও তথ্য কমিশনের সচিব মো. রফিকুজ্জামান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবসের প্রধান অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জানিয়ে বলেন, ‘প্রথমবারের মতো এ আয়োজনে রাষ্ট্রপতির আগমন দিবসটির গুরুত্ব বৃদ্ধি করেছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার এ আইনের প্রয়োগ উৎসাহিত করে কারণ সরকার স্বচ্ছতা চায়। দেশের সব কাজেই পূর্ণ স্বচ্ছতা আনতে জনগণ ও গণমাধ্যমকে তাদের তথ্য পাবার অধিকার প্রয়োগ করতে হবে।’ এ কারণে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম ছাড়াও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের দুই হাজার সাংবাদিককে তথ্য অধিকার আইন প্রয়োগের বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই প্রধান তথ্য কমিশনার দিবসটি উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে তথ্য অধিকার বিষয়ে আয়োজিত র্যালি ও সমাবেশসহ তথ্য কমিশনের কার্যাবলী তুলে ধরেন। এরপর তথ্য সচিব মরতুজা আহমদ জনগণের তথ্য পাবার বিষয়ে সরকারের আন্তরিকতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, তথ্য অধিকার আইন জনগণের স্বাধীনতাকে অর্থবহ করে তুলেছে। টেকসই উন্নয়নে এ আইনের প্রয়োগ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহজাদী আঞ্জুমান আরা, যুগ্মসচিব মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম, অতিরিক্ত প্রধান তথ্য অফিসার মো. ইসতাক হোসেনসহ বিপুলসংখ্যক গণমাধ্যম কর্মী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ২৭-০৯-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব
Tags: