সোহেল ইবনে ছিদ্দিক, স্টাফ রিপোর্টার (ঢাকা):
কিশোরগঞ্জ জেলা সম্পর্কে এখন সারা বাংলাদেশের প্রায় সব মানুষই জানে। কারণ বাংলাদেশের র্বতমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তার ছেলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বাড়ীও এই কিশোরগঞ্জেই। এছাড়াও প্রধান বিচারপতি, প্রধানমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদের স্পিকার, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রীসহ বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ বিশেষ পদে অধিষ্টিত আছেন উর্বর মাটির কিশোরগঞ্জের মানুষ।
রাজধানী ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জের দুরুত্ব ৯৯ কিলোমিটার। বাসে ঢাকা থেকে কিশোরগঞ্জ যাবার দুটি পথ। এক সায়দাবাদ থেকে নরসিংদী-ভৈরব হয়ে কিশোরগঞ্জ, অপরটি মহাখালী থেকে টঙ্গী-গাজীপুর হয়ে রাজেন্দ্রপুর-কাপাসিয়া-টোক দিয়ে সরাসরি কিশোরগঞ্জ।
সায়দাবাদ থেকে ছেড়ে যায় ইশা-খা, অনন্যাসুপার, যাতায়াত ও হাউর এক্সপ্রেস আর মহাকালী থেকে ছেড়ে যায় অনন্যা, অনন্যা ক্লাসিক ও উজান ভাটি পরিবহন। রাজধানীতে বসবাসরত কিশোরগঞ্জ জেলার শতকরা ৮০ ভাগ লোকই মিরপুর, মুহাম্মাদপুর, ইব্রাহিমপুর, উত্তরা, আব্দুল্লাপুর, টঙ্গী ও গাজীপুরে বসবাস করে। যে কারণে এরা মহাখালী থেকে ছেড়ে আসা বাসগুলি দিয়েই বাড়ী যেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে।
এই বাসগুলো দিয়ে যে একবার যায় তার আর দ্বিতীয়বার যাবার ইচ্ছা জাগে না। কিন্তু বাড়ি যাওয়ার তাগিদে কিছু করার নেই বলে বাস মালিকদের সিন্ডিকেট যাত্রীদের নিরবে সয়ে যেতে হয়। ৯৯ কিলোমিটারের জন্যে ভাড়া ২০০ টাকা, সরকার নির্ধারিত কিলোপ্রতি ১.৪৫ টাকা হাড়ে ভাড়া আসে ১৪৩ টাকা ৫৫ পয়সা অর্থাৎ প্রতিটি টিকেট থেকে তারা ৫৬ টাকা ৪৫ পয়সা ভাড়া বেশি নিচ্ছে। এতেও যাত্রীদের তেমন আক্ষেপ থাকতোনা যদি তাদের পরিবহন ব্যবস্থা একটু ভাল হতো। এত বেশি ভাড়া দেয়ার পরেও তারা যেখানে সেখানে লোক উঠাচ্ছে-নামাচ্ছে নিজের মনের মতো করে। সিটের সামনে পা রাখার জন্য জায়গা মাত্র ১২ ইঞ্চি। এর বেশি থাকবেই বা কিভাবে, ২৪ সিটের বাসকে বানানো হয়েছে ৩৭ সিট, তারপর ইঞ্জিন বক্সে বসায় আরো ৬ জন। এতোকিছুর পরেও আরো লোক নেয় দাড় করিয়ে আর তাদের কাছ থেকেও আদায় করা হয় অধিক হারে ভাড়া।
অভিযোগ করার জন্য যে কয়টা মোবাইল নাম্বার দেওয়া আছে তার সবকয়টাই বন্ধ। যদি কখনো খোলা পাওয়া যায় তাও থাকে ব্যস্ত। কিন্তু সাধারন যাত্রীরা তাদের যাত্রাপথের এই ভোগান্তির কথা কার কাছে বলবে, তারা সাধারন তাই সধারন ভাবেই বলে যায়…।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/৩০-০৯-২০১৬ইং/ অর্থ