ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) তাদের নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
ডিএসইর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের নতুন অফিসের ঠিকানা হবে: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, দেহোরা, ধামসোনা, বলিভদ্র বাজার, আশুলিয়া, ঢাকা-১৩৪৯। একই দিনে মহাখালীর কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের সর্বশেষ মূল্য ছিল ২৮৪ দশমিক ৯০ টাকা। কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে উচ্চ হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে- ২০২৪ সালে ৩০০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১০০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।
মহাখালীর এই কারখানাটি ১৯৬৫ সালে স্থাপন করা হয়েছিল, যা ছিল কোম্পানির দ্বিতীয় কারখানা। প্রথম কারখানাটি ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে স্থাপন করা হয়। আবাসিক এলাকায় এই কারখানা স্থাপনের বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবাদীরা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
জানা গেছে, কোম্পানিটি এই জমি ইজারা নিয়ে ব্যবহার করছিল এবং প্রতি ইজারা চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, সর্বোচ্চ নবায়নযোগ্য মেয়াদ ৯০ বছর। ৬০ বছর কারখানা চালানোর পর বাকি ৩০ বছরের জন্য ইজারা নবায়নের আবেদন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুর না করায় বিএটি বাংলাদেশ আইনি পদক্ষেপ নেয়।
তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২৮ মে কোম্পানির করা আপিল খারিজ করে দেন। এই রায়ের পরই আজ কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসে।