যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে পরিত্যক্ত রেলপথ তুলে ফেলছে রেলওয়ে বিভাগ। নতুন রেলসেতু চালু হওয়ার পর পুরনো রেলপথটি আর ব্যবহৃত হচ্ছিল না। ফলে সেটি অপসারণ করে একই স্থানে সড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সেতুর পূর্বপাড় থেকে রেললাইন তুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী বীরবল মণ্ডল জানিয়েছেন, এই কাজ সম্পন্ন হতে অন্তত দুই মাস সময় লাগবে।
প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, রেলপথ অপসারণের ফলে সেতুর উভয় পাশে ১ দশমিক ৭৫ মিটার করে অতিরিক্ত সড়কসংযুক্তি সম্ভব হবে। ফলে ৬ দশমিক ৩ মিটার প্রস্থের সড়ক হবে ৮ মিটার, যা যানজট কমাতে সহায়ক হবে। তবে সড়ক সম্প্রসারণের জন্য আলাদা কারিগরি স্টাডি ও প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, যমুনা সেতুতে ২০০৪ সালে রেললাইন চালু হয়। কিন্তু উচ্চগতির ট্রেন চলাচলের কারণে ২০০৬ সালে সেতুর গায়ে ফাটল দেখা দেয়। এরপর ট্রেনের গতি কমানো হয়, যা সময়ক্ষেপণ ও যানজটে রূপ নেয়। এই সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালে যমুনা সেতুর উত্তরে নতুন রেলসেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় এবং তা উদ্বোধন হয় ২০২৫ সালের ১৮ মার্চ। এই প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা।
সেতুর ওপর থেকে রেলপথ সরিয়ে নতুন সড়কপথ সংযুক্ত হলে যানবাহনের গতি ও চলাচল স্বাচ্ছন্দ্যময় হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।