মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ রিপোর্টঃ
‘থাকবে শিশু সবার মাঝে ভাল, দেশ-সমাজ পরিবারে জ্বলবে আশার আলো’ শ্লোগান নিয়ে কিশোরগঞ্জে বিশ্ব শিশু দিবস পালিত ও শিশু অধিকার সপ্তাহ শেষ হয়েছে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে কণ্যাশিশু, প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু, শ্রমজীবি ও প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ন্যাশনাল চিল্ড্রেন টাস্কফোর্স (এনসিটিএফ) কিশোরগঞ্জের সহযোগিতায় জেলা শিশু একাডেমী এ কর্মসূচির আয়োজন করে। এ উপলক্ষে শনিবার সকালে শিশু একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো: আক্তার জামীল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারী নেত্রী এ্যডভোকেট মায়া ভৌমিক, বিশিষ্ট শিকক্ষাবিদ আবু খালেক পাঠান, জেলা শিশু একাডেমির পরিচালনা পরিষদের খালেদা ইসলাম এবং সাকাউদ্দিন আহমেদ রাজন। বক্তারা এসময় শিশুদের বিভিন্ন অধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো: আক্তার জামীল তার বক্তব্যে বলেন, অনুন্নত দেশসমূূহে শিশুরা সবচেয়ে বেশি নাজুক অবস্থায় থাকে। শিশুর অধিকার ও নিরাপত্তার জন্য এই ধরনের সপ্তাহ বা দিবস বিশেষ সচেতনতা সৃষ্টি করে। তিনি এসময় শিশুদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির বিষয়ে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। শিশু দারিদ্র মোচনের লক্ষ্যে নানাবিধ অর্থনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়িত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রম থেকে শিশুদের নিবৃত্ত করা হচ্ছে। নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে কড়া আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। শিশুকে অপরাধী সাব্যস্ত করার নূন্যতম বয়সের সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে। সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচিসহ নিরাপদ মাতৃত্ব, জরুরী ভিটামিনসমূহ সরবরাহ করা এবং জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য রক্ষা ও উন্নয়নে বিভিন্ন প্রচারাভিযানের মাধ্যমে শিশুর জীবন রক্ষা ও সুস্বাস্থ্যের নিশ্চয়তা দানকারী সেবা ও কর্মসূচিসমূহ বিস্তার লাভ করে চলেছে। শিশুর বেঁচে থাকা এবং তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ও উন্নয়নের সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করার সার্বিক প্রচেষ্টা সমাজের সর্বত্রই চলছে। তবে এসব অধিকার দ্রুত ও সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন ব্যাপক গণসচেতনতা।
তিনি আরও বলেন শিশুদের সব অধিকার বাস্তবায়ন করে, তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে শ্রম ও নির্যাতন থেকে রক্ষা করে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিয়ে সুন্দর পৃথিবী ও সুযোগ্য নাগরিক বিনির্মাণে আমরা সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসি এই হোক আমাদের প্রত্যাশা ও প্রত্যয়। শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/০২-১০-২০১৬ইং/ অর্থ