muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

নিজেকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণায় অনিচ্ছুক ড. ইউনূস

নিজেকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণায় অনিচ্ছুক ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণা করার বিষয়ে হাইকোর্টের এক রুল জারি হওয়ায় রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে সরকার এবং ড. ইউনূস – উভয় পক্ষই বিষয়টি থেকে নিজেদের বিরত রেখেছেন।

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, “অধ্যাপক ইউনূস চান না তাকে এমন কোনো উপাধিতে ভূষিত করা হোক।” একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকেও তাকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণার কোনো পরিকল্পনা নেই।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে রুল জারি করেছেন। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছে—“ড. ইউনূসকে কেন জাতীয় সংস্কারক ঘোষণা করা হবে না?” এ বিষয়ে রুলের অনুলিপি হাতে পাওয়ার পর সরকার আইন অনুযায়ী জবাব দেবে।

প্রেস উইংয়ের বক্তব্যে আরও বলা হয়েছে, “রিট আবেদনটি ব্যক্তি উদ্যোগেই দায়ের করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এটি কোন যুক্তির ভিত্তিতে করা হয়েছে, সেটিও পরিষ্কার নয়। বিষয়টি অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় দেখছে এবং যথাসময়ে আইনি প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।”

গতকাল সোমবার (১৪ জুলাই) ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য এমদাদুল হক কর্তৃক দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। রুলে বলা হয়, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘জাতীয় সংস্কারক’ ঘোষণায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কেন নির্দেশ দেবে না—তা ৪ সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

রুলের কপি পাঠানো হয়েছে জনপ্রশাসন, মন্ত্রিপরিষদ, প্রতিরক্ষা এবং আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহে।

ড. ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বিগত রাজনৈতিক সংকট ও ক্ষমতা পরিবর্তনের পর জাতীয় সংলাপ ও প্রশাসনিক পুনর্গঠনে তার ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচিত হয়েছে।

Tags: