রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে মো. সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন আসামির বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড শেষে তাদের হাজির করে পুলিশ।
এরপর তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ এহসানুল ইসলাম ও আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন- টিটন গাজী, মো. আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
গত ১২ জুলাই টিটন গাজীর পাঁচ দিন ও গত ১৩ জুলাই আলমগীর ও মনিরের ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন ঢাকার ম্যাজিস্ট্রেট আদালত।
জানা যায়, গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের তিন নম্বর গেটের সামনে পাকা রাস্তার ওপর প্রকাশ্যে লালচাঁদ ওরফে সোহাগকে পাথর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। খবর পাওয়ার পরপরই কোতোয়ালি থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নিহতের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। অপরদিকে অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।