muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারলো অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্কঃ

 

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠের সিরিজে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ১৪২ রানের বড় জয়ে আধিপত্য ধরে রেখেছে প্রোটিয়ারা।

 

জোহানেসবার্গে আগে ব্যাট করতে নেমে ফাফ ডু প্লেসিসের সেঞ্চুরিতে ভর করে অসিদের ৩৬২ রানের টার্গেট দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭.৪ ওভারে ২১৯ রান তুলতেই অলআউট হয়ে যায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়া। ফলে এই ম্যাচে বড় ব্যবধানের জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

রোববার ৩৬২ রানের টার্গেটে খেলেতে নেমে শুরেুতেই বিপর্যয়ে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৩ রানে ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চকে হারিয়ে চাপে পড়ে দলটি। দলীয় ২৯ রানে স্মিথ ডেল স্টেইনের শিকার হলে আরও বিপদে পড়ে অতিথিরা। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ত্রাভিস হেড সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন। তাছাড়া ডেভিড ওয়ার্নার করেন ৫০ রান। এছাড়া আর কেউ বড় কোনো ইনিংস খেলতে না পারায় শেষপর্যন্ত ২১৯ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।

 

বল হাতে প্রোটিয়াদের হয়ে ওয়েন পার্নেল সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট পান অ্যান্দিল ফ্যালুকওয়াও ও কাগিসো রাবাদা। এছাড়া একটি করে উইকেট লাভ করেন তাহির, ডুমিনি ও ডেল স্টেইন।

 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা আক্রমণাত্মক হলেও দলীয় ৭০ রানে গত ম্যাচের জয়ের নায়ক ডি কককে হারায় প্রোটিয়াসরা। ব্যক্তিগত ২২ রান করে হ্যাস্টিংসের বলে আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

 

তবে হ্যাস্টিংসের দ্বিতীয় শিকারও হওয়ার আগে ৭৫ রানের চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া আরেক ওপেনার রিলে রুশো। আর ওয়ানডাউনে তার সঙ্গে নেমে ১৫০ রানের জুটি গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অনেকদূর এগিয়ে দেন ফাফ ডুপ্লেসিস।

 

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১১১ রানের ইনিংসটি খেলেন ডুপ্লেসিস। ৯৩ বল মোকাবেলায় ১৩ চারের সাহয্যে এ ইনিংসটি খেলেন তিনি। ৮২ রানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংসটি খেলেন জেপি ডুমিনি। এছাড়া ডেভিড মিলারের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা।

 

বল হাতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে জন হ্যাস্টিংস ৩টি ও মিচেল মার্শ ২টি উইকেট পান।

 

ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন দক্ষিণ আফ্রিকার ফাপ ডু প্লেসিস।

 

 

 

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম /   ০২-১০-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব

 

Tags: