সোহানুর রহমান সোহান, ভৈরব ( কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আপন ননদের স্বামীর বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে ফেরত পাঠায় বলে অভিযোগ উঠেছে ভুক্তভোগী পরিবার। পরে আদালতে মামলা দায়ের করলে পুলিশ অভিযুক্ত কে রোববার রাতে গ্রেফতার করলেও তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভৈরব থানার এস আই রাকিব বিন ইসলামের বিরুদ্ধে। পৌর শহরের কালিপুর মধ্যপাড়া পশ্চিম বন্দ এলাকার সুমন মিয়ার স্ত্রীকে ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত চন্ডিবের এলাকার মৃত আতর মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩৫)।
ভুক্তভোগী নারীকে, গত ১৭ জুন সকাল ১১টার দিকে কালিপুরস্থ পশ্চিম বন্দ এলাকায় নিজ বাড়িতে একা পেয়ে স্বামী পুরনো একটি মামলায় কারাগারে থাকায় সেই সুযোগে আপন ননদের স্বামী বাবুল মিয়া (৩৫) ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। “ শরীরে আঘাত করে। ভুক্তভোগীর ডাকচিৎকারে লোকজন চলে আসলে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেফতার করলেও ছেড়ে দেয় পুলিশের ঐ এসআই। এ ঘটনায় আজ সকালে ভৈরব থানা ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর পরিবার। " তাদের দাবি এসআই রাকিব বিন ইসলামসহ ছয় পুলিশ সদস্য ও তিনি নিজে গিয়ে বাবুলকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের সামনে বাবুলকে হাতকড়া পরানো হয়। কিন্তু তিন ঘণ্টা থানায় অপেক্ষা করেও আসামীকে দেখতে পাইনি। পরে জানতে পারি, নাকি আসামী হাতকড়া পরা অবস্থায় পালিয়েছে! এটা মিথ্যা। ২ লাখ টাকার বিনিময়ে পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সঠিক বিচার চাই
ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয়রা এ ঘটনায় পুলিশি দায়িত্বে অবহেলা ও আসামী ছাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ এনে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি করেন ।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ খন্দকার ফুহাদ লোহানী জানান, বাথ রুমের কথা বলে পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছেন বলে স্বীকার করে জানান, এ বিষয়ে উধ্বতন কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে । তদন্ত করে প্রমান পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।