মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্টঃ
প্রচলিত জাতীয় পরিচয়পত্র বদলে বিতরণ শুরু হল প্লাস্টিকের তৈরি স্মার্ট কার্ড। এই কার্ড ব্যবহার করা যাবে নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে।
রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
এরপর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর হাতে তার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেন। এর মধ্য দিয়ে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ শুরু হলো।
জাতীয় পরিচয়পত্র স্মার্ট কার্ড ২২টি গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগবে।
এর মধ্যে অন্যতম আয়কর দাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রাপ্তি, ড্রাইভিং লাইসেন্স নম্বর প্রাপ্তি ও নবায়ন, পাসপোর্ট প্রাপ্তি ও নবায়ন, চাকরির জন্য আবেদন, স্থাবর সম্পত্তি কেনা-বেচা, ব্যাংক হিসাব খোলা ও ঋণ প্রাপ্তি, সরকারি বিভিন্ন ভাতা উত্তোলন, সরকারি ভর্তুকি, সাহায্য, সহায়তা প্রাপ্তি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, বিমানবন্দরে ই-গেইট এর মাধ্যমে আগমন ও বহির্গমন সুবিধা, শেয়ার আবেদন ও বিও অ্যাকাউন্ট খোলা, ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি, যানবাহন রেজিস্ট্রেশন, বিয়ে ও তালাক রেজিস্ট্রেশন, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি সংযোগ গ্রহণ, মোবাইল ও টেলিফোন সংযোগ গ্রহণ, বিভিন্ন ধরনের ই-টিকেটিং, সিকিউরড ওয়েব লগ ইন, ই-ফরম পূরণে নাগরিকের সঠিক ও নির্ভুল তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংযোজনের কাজে ১০ ডিজিটের এই স্মার্টকার্ড ব্যবহার করা যাবে।
ইসি সূত্র জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য জানাতে একটি হেল্প ডেস্ক খুলেছে এআইডি উইং। যে কোনো ফোন থেকে ১০৫ নম্বরে কল করে নাগরিকদের তথ্য জানাবে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিভাগের কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, প্রচলিত ল্যামিনেটিংয়ের তৈরি পুরনো পরিচয়পত্র ফিরিয়ে নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব নাগরিকের হাতে এই স্মার্টকার্ড বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করেছে নির্বাচন কমিশন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ০২-১০-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব