বরগুনার তালতলীতে প্রেমিক আলম লস্কারের (৩০) বিয়ের খবর পেয়ে তার বাড়িতে দুইদিন ধরে অনশন করছেন এক কিশোরী। বিয়ে না করলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের জাকিরতবক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপর প্রেমিক আলম লস্কারের পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। আলম লস্কার (৩০) একই গ্রামের তনু লস্কারের ছেলে ও তালতলী উপজেলা নির্বাচন অফিসের নৈশপ্রহরী। ভুক্তভোগী জানান, ওই কিশোরীর সঙ্গে আলমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একপর্যায়ে আলম তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্নস্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেন। গত শুক্রবার থেকে আলম তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এতে কিশোরীর সন্দেহ হয়। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আলম অন্যত্র বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খবর পেয়ে প্রেমিকা রোববার আলমের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেন। কিশোরী বলেন, এক বছর আগে আলমের সঙ্গে স্থানীয় ঘটকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তিনি আমাকে বিয়ের প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলেও পরে সম্পর্ক হয়। এরপর থেকে আলম বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছেন। শুক্রবার (১ আগস্ট) থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। তিনি বলেন, এতে আমার সন্দেহ হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, আলম পারিবারিকভাবে অন্যত্র বিয়ে করছেন। এ খবরে রোববার থেকে আমি অনশনে বসেছি। সোমবার পর্যন্ত অনশন করে যাচ্ছি। আমাকে আলম বিয়ে না করলে এই বাড়ি থেকে যাব না এবং এখানেই আত্মহত্যা করবো। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলম লস্কারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নীনা বেগম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বিষয়টি থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। তালতলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জেনেছি, এ বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।