সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে পাথর লুটের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আজ বুধবার বেলা দেড়টার দিকে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের কাছে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিটির প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহ।
তদন্ত প্রতিবেদনে ১০টি সুপারিশ, বেশ কিছু পর্যবেক্ষণ এবং জড়িত ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিবেদনের বিস্তারিত প্রকাশ করতে অপারগতা জানান কমিটির প্রধান পদ্মাসন সিংহ। জেলা প্রশাসকও জানান, প্রতিবেদনটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।
২০২০ সালের পর থেকে সিলেটে পাথর কোয়ারি ইজারা বন্ধ থাকলেও রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীদের চাপে অবৈধ উত্তোলন চলতে থাকে। গত বছর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে টানা এক বছর দেদার পাথর লুটপাট হয়। সর্বশেষ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র থেকে প্রায় ৮০ শতাংশ পাথর লুট হয়ে যায়, যা দেশ-বিদেশে তীব্র সমালোচনার জন্ম দেয়।
ঘটনার পর ১২ আগস্ট জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদ্মাসন সিংহকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও আজিজুন্নাহার (সাম্প্রতিক বদলি) ও পরিবেশ অধিদপ্তর সিলেটের সহকারী পরিচালক মো. আফজারুল ইসলামকে সদস্য করা হয়।
এদিকে বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী জানিয়েছেন, লুটকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ চলছে। গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন পক্ষ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে, যাতে প্রকৃত দোষীদের ধরা যায় এবং নির্দোষ কেউ হয়রানির শিকার না হয়। তালিকা তৈরির পর তা প্রকাশ করা হবে।
আজও পাথর উদ্ধারে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী ও টাস্কফোর্স। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৯৫ হাজার ঘনফুট ও গোয়াইনঘাটে দুই হাজার ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কোম্পানীগঞ্জে উদ্ধার হওয়া পাথরের হিসাব তখনো জানাতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন।