ভোলাগঞ্জ- শুভ্র, নিষ্পাপ ফুসফুস উপড়ে ফেলা রমনী। তোমার শ্বাসের জায়গায় গর্ত, অসীম শূন্যতায় ভেসে যাচ্ছে প্রেমের দেহ।
বিছানাকান্দি- প্রেমের শীতলপাটি এখন তুমি আয়নার ভেতরে ভাঙা মুখ, যেখানে প্রতিফলিত হয় না আর চোখের দীপ্তি। শুধু রাজনীতির দাঁত কেটে খায় অবশ স্বপ্নের মাংস।
জাফলং- শবযাত্রায় দাঁড় করানো প্রাচীন প্রেমিকা আমার। তোমার চুলে ঝরে পড়ে ধুলো, সাদা পাথরের মতো মৃত চোখে কোনো রোদ খেলে না আর।
রাঙাপানি- নব প্রেমিকা! তোমার জলে ভাসে কফিনের নৌকা, যেখানে বোঝাই হয় আত্মার টুকরো, হৃদয়ের হাড়, আর বিক্রি হয় বাজারে ভালোবাসার কঙ্কাল।
লোভাছড়া- অরণ্যের গোপন দেহ, খননযন্ত্রের দাঁতে ছিঁড়ে যায় শিরা। পাড়ে জমে ওঠে মৃত হাড়ের স্তূপ, আর সুরমার বুকে ভেসে চলে চুরি করা প্রেমের কণ্ঠহীন গান।
কেউ ভাবে পাথর তোলে, আসলে তোলে শরীরের শিরা, প্রেমের রক্ত, নদীর গান। তবু হয়তো একদিন ঝড়ে ভেঙে পড়া পাথর আবার হয়ে উঠবে সবুজ বীজ। যেখানে লুকিয়ে থাকবে একটি অসমাপ্ত আলিঙ্গনের প্রতিশ্রুতি।