বিশ্বের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ মিশরের ঐতিহ্যবাহী আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করেছে মিশরে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের অঙ্গসংগঠন আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি ও দেশের মানবিক সংগঠন হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটি।
সম্প্রতি ইসলামী কায়রোর খ্যাতনামা ‘নাদি-ইল-মিয়াহ’ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা মাহফুজুল হক।
অনুষ্ঠানে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদে স্নাতক পরীক্ষায় মেধাতালিকার শীর্ষ দশে স্থান অর্জনকারী ২৯ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক (ثانوية عامة) পরীক্ষায় সেরা দশের মধ্যে স্থান পাওয়া ৬ জনসহ মোট ৩৫ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও বিশেষ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। একইসঙ্গে আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির পক্ষ থেকেও মিশরে সফররত হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির প্রতিনিধিদের সম্মাননা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সহ-সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ তাওহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রব্ব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি শিহাব উদ্দিন।
শিক্ষার্থীদের কৃতিত্ব তুলে ধরেন পিএইচডি গবেষক মুহিববুর রহমান আবু আদনান, আর সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য উপস্থাপন করেন গবেষক মোশাররফ হুসাইন। কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনার জন্য হাফেজ্জী চ্যারিটেবল সোসাইটির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ উবায়দুল্লাহ।
পাঁচ শতাধিক অতিথির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের তারবিয়া ইসলামিয়া অনুষদের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. আহমদ যায়েদ মাবরুক, তরুণ ইসলামিক স্কলার মুফতি রেজাউল করিম আবরার, হাফেজ্জীর সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম, উপদেষ্টা ব্যারিস্টার হাসান মাহমুদ, মহাপরিচালক নওমুসলিম মুহাম্মদ রাজ, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা মুহসিন বিন মুঈন, অধ্যাপক আবুল কাইউম, হাজী ইদ্রিস আলী সাউদ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল্লামা মাহফুজুল হক শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা যারা আল-আজহারে এসে দেশের নাম উজ্জ্বল করছ, তোমরাই বাংলাদেশের আগামী দিনের মূলধন। ভর্তি প্রক্রিয়া কিংবা জীবনযাত্রায় কোনো সমস্যায় পড়লে বেফাক ও আমাদের সংগঠন সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে ইনশাআল্লাহ। তোমাদের কষ্ট আমাদের কষ্ট, তোমাদের স্বপ্ন আমাদের স্বপ্ন। যেকোনো জটিলতা দূর করতে আমরা কার্যকর ভূমিকা রাখব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।”
হাফেজ্জীর নেতৃবৃন্দ বলেন, “আল-আজহারে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলা এই তরুণদের পাশে দাঁড়ানোই আমাদের অঙ্গীকার। আল্লাহ যেন এ প্রচেষ্টা কবুল করেন এবং আমাদের জাতিকে প্রকৃত যোগ্য নেতৃত্ব দান করেন।”