মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্টঃ
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর নৃশংস হামলার বিচার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান। জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘সিলেটে অত্যন্ত দ্রুত সময়ের মধ্যে শিশু রাজন হত্যার বিচার হয়েছে। একইভাবে খাদিজা হত্যাচেষ্টার বিচারও দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পুলিশ ও জেলা প্রশাসন সমন্বিত উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করবে। সেটি গৃহীত হলে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের জন্যে প্রস্তাব পাঠানো হবে।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) জেদান আল মূসা জানান, মামলার প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ১৬৪ ধারায় আদালতে আসামি বদরুলেরর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। খাদিজা হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত চাপাতিসহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ শুক্রবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তার পক্ষ থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবরে খাদিজার চিকিৎসা সনদের জন্য আবেদন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সিলেট এমসি কলেজের পরীক্ষার হল থেকে বের হওয়ার পর খাদিজাকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন বদরুল নামের এক যুবক। খাদিজার সহপাঠীসহ স্থানীয় জনতা বদরুলকে পুলিশে দেন। বদরুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকে। বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ০৭-১০-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব
Tags: