কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির সালিশ বৈঠকে ছুরিকাঘাতে মজনু মিয়া (৩০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করিমগঞ্জ থানার সামনে মুখলেছ মিয়ার চায়ের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মজনু উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের খিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি স্থানীয়ভাবে মুদি ব্যবসা করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, নিহত মজনুর বাবা তোতা মিয়া এবং একই গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। সম্প্রতি ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ প্রেক্ষাপটে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে উভয় পক্ষকে থানার সামনে একটি চায়ের দোকানে আলোচনার জন্য ডাকেন। সেখানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।
কিন্তু সালিশ চলাকালে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং মুহূর্তেই তা হাতাহাতিতে রূপ নেয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ইসলাম উদ্দিনের পক্ষের বিল্লাল হোসেন প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ছুরি চালান। তবে সেই আঘাত গিয়ে লাগে তারই চাচাতো ভাই মজনুর শরীরে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে থানার ঠিক সামনে এবং পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে। তা সত্ত্বেও এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটে যাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ ঘটনার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।