দেশের বাজারে টানা ৮ দফায় বাড়ানোর পর অবশেষে সোনার দাম কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৪৭০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা নির্ধারণ করেছে সংগঠনটি।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন এই দরে সোনা ক্রয়-বিক্রয় হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৮৮ হাজার ১৫২ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬০২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৪১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
এর আগে, সবশেষ গত ১৬ সেপ্টেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬২২ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। যা এতোদিন ছিল দেশের ইতিহাসে সোনার সর্বোচ্চ দাম।
এ নিয়ে চলতি বছর মোট ৫৪ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৩৭ বার, আর কমেছে মাত্র ১৭ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার।
সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৪৭৬ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে রুপার সর্বোচ্চ দাম।
এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৩১৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৮৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ১৩৫ টাকায়।