muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

৬ গ্রামের মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ, ভরসা শুধু বাঁশের সাঁকো

৬ গ্রামের মানুষের পারাপারে দুর্ভোগ, ভরসা শুধু বাঁশের সাঁকো

বরগুনার আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া ও আরপাঙ্গাশিয়া খালের উপর সেতু না থাকায় ৬ গ্রামবাসীর ভরসা ২টি বাঁসের সাঁকোর উপর। সাঁকো দুটির স্থানে সেতু নির্মানের দাবী এলাকাবাসীর। আরপাঙ্গাসিয়া ইউপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৫ বছর পূর্বে চরগগাছিয়া খালের উপর ছত্তার মাস্টারের বাড়ির সামনে স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের চলাচলের সুবিধার জন্য ১০০ মিটার দৈঘ্যের ১টি বাঁসের সাঁকো নির্মান করে। সাঁকোর উপর ভরসা করে চরকগাছিয়া, বালিয়াতলী, সোমবাড়িয়া বাজারসহ ৩ গ্রামের প্রায় ৪হাজার মানুষ চলাচল করে। খালের দক্ষিণপাড়ে চরকগাছিয়া ছালেহিয়া দ্বীনিয়া মাদরাসা রয়েছে। মারাসায় যেতে হলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অধিক ঝুকি নিয়ে এই সেতু পার হয়ে যেতে হয়। এছাড়া এই সেতু পার হয়ে প্রতিদিন শতশত গ্রামবাসীকে আমতলী সদরসহ আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চলাচল করতে হয়। বর্ষাকালে সেতুর বাস পিচ্ছিল হওয়ায় বৃদ্ধ নারীসহ শিশুদের চলাচলে মারাত্মক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অনেক সময় মুমুর্ষ রোগীদের এইসেতু দিয়ে চিকিৎসার জন্য আমতলী কিংবা অন্যত্র নেওয়া যায় না। চরকগাছিয়া গ্রামের বাসিন্দা আবু জাফর সালেহ বলেন, চরকগাছিয়া খালে সেতু না থাকায় প্রায় ২ হাজার গ্রামবাসীকে একটি বাঁসের সাঁকোর উপর ভরসা করে আমতলী শহরসহ আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদে চলাচল করতে হয়। এতে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আমরা এখানে একটি সেতু নির্মানের দাবী জানাই। আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের আরপাঙ্গাশিয়া খালের সাতধারা নামক স্থানে একটি লোহার সেতু ছিল। সেতুটি ২ বছর পূর্বে ধসে পড়ে। তখন সেতুটির মালামাল নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়।এর পর ওই স্থানে আর কোন সেতু নির্মান করা হয়নি। বর্তমানে স্থানীয়রা তাদের চলাচলে ভোগান্তির কথা চিন্তা করে গ্রামবাসী মিলে ২শ’ মিটার দৈঘ্যের একটি বাঁসের সাঁকো নির্মান করে। এই সেতু পার হয়ে সাতধারা, আরপাঙ্গাশিয়া, পাতাকাটা গ্রামের প্রায় ২ হাজার মানুষ এক পাড় থেকে অন্যপাড়ে চলাচল করে। এই সেতু পার হয়ে পাতাকাটা এবং আরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের মানুষ আমতলী শহরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করে। এই সেতু পার হয়ে পাতাকাটা গ্রামের কোমল মতি শিশুরা প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে দক্ষিণ আমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। শিশু মনিরা বলেন, এই বাাঁসের সেতু পার হইয় আসতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। বর্ষার দিনে পাড়াপারে অনেক কষ্ট হয়।স্থানীয় বাসিন্দা রাহিমা বলেন, মোগো এই হাক্কা পারাইতে ব্যামালা ভয় লাগে। এই হানে একটা ব্রীজ বানাইয়া দেলে মোগো আটতে সুবিধা অয়। আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেলী পারভীন মালা বলেন, আমতলী উপজেলা সদরসহ ইউনিয়নের অভ্যন্তরীন যোযোগের জন্য চরকগাছিয়া ও আরপাঙ্গাশিয়া খালের উপর স্থানীয়দের চলাচলের সুবিধার জন্য বাঁশের সাকোর স্থানে জরুরী ভাবে দুটি সেতু নির্মান প্রয়োজন। আমতলী উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মো. ইদ্রিস আলী বলেন, চরকগাছিয়া এবং আরপাঙ্গাশিয়া খালের উপর সেতু নির্মানের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। টাকা বরাদ্ধ পাওয়া গেলে কাজ শুরু করা হবে।

Tags: