কী হবে? কী হতে পারে? তার আভাস মিলেছিল আগেই। তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থিদের বড় অংশ নির্বাচন বয়কট করেছে আগেই। তাতে করে নির্বাচনের আকর্ষণ, উত্তেজনা ও প্রতিদ্বন্দ্বীতা কমে প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে আসে।
তাতে করে ক্রীড়া উপদেষ্টা তথা সরকার সমর্থনপুষ্ট আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তার পক্ষের বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় বহুগুণে। ৬ অক্টোবরের নির্বাচনে বুলবুল ও তার পক্ষ জিতবে ধরেই বসেছিলেন ক্রিকেট অনুরাগীরা। বাস্তবে সেটাই হয়েছে। আজ সোমবারের বিসিবি নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও তার পক্ষের।
এক কথায় নির্বাচিত ২৩ জনের সবাই বুলবুলপন্থি। আর এনএসসি কোটায় যে দুজন বোর্ডে পরিচালক হিসেবে এসেছেন, তারাও যেহেতু সরকার মনোনীত, আর বুলবুলও সরকার সমর্থনপুষ্ট- তাই ধরেই নেওয়া যায় পুরো ২৫ জনের বোর্ডই বুলবুল ও তার দলের।
এদিকে যার ব্যাকগ্রাউন্ড যাই হোক না কেন, এবারের বিসিবি পরিচালনা পর্ষদে নতুনের সমাহার। ২৫ জনের বোর্ডে পুরোনো মুখ মাত্র ৫ জন; ফারুক আহমেদ, নাজমুল আবেদিন ফাহিম, ইফতিখার রহমান মিঠু ও মঞ্জুর আলম। যারা আগে একবার হলেও বোর্ড পরিচালক পদে ছিলেন।
কিন্তু বাকি ২০ জন একদমই নতুন। এর মধ্যে ক্যাটাগরি-১ মানে জেলা ও বিভাগ থেকে আমিনুল ইসলাম বুলবুল আর নাজমুল আবেদিন ছাড়া যে ৮ জন (আহসান ইকবাল চৌধুরী, আসিফ আকবর, আব্দুর রাজ্জাক, জুলফিকার আলী, রাহাত শামস, শাখাওয়াত হোসেন, মোখলেসুর রহমান ও মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান) প্রথমবার বিসিবি পরিচালক হলেন।
অন্যদিকে ক্যাটাগরি-২ তথা ঢাকার ক্লাব কোটায় ইফতিখার রহমান মিঠু ও মঞ্জুর আলম এর আগেও বোর্ডে ছিলেন। বাকি ৯ জন (ইশতিয়াক সাদেক, শানিয়ান তানিম, মেহরাব আলম চৌধুরী, আমজাদ হোসেন, মোকসেদুল কামাল, ফাইয়াজুর রহমান মিতু, আদনান দীপন, আবুল বাশার শিপলু ও এম নাজমুল হোসেন) প্রথম বোর্ড কর্তা হলেন।
ক্যাটাগরি ১ ও ২ থেকে ১৭ জন নতুন। তার সাথে যুক্ত হবেন আরও তিনজন। একজন ক্যাটাগরি-৩ থেকে খালেদ মাসুদ পাইলট। আর দুজন নতুন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কোটায় আরও দুজন; এম ইশফাক আহসান ও ইয়াসির মোহাম্মদ ফয়সাল আশিক। মোট ২০ জন নতুন পরিচালক, যারা প্রথমবার বিসিবিতে আসলেন।