জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) ফাইনালে চরম ব্যর্থ সৌম্য সরকার-এনামুল হক বিজয়ের মতো জাতীয় দলে খেলা ক্রিকেটাররা। তাদের সঙ্গে অন্যরাও জ্বলে উঠতে না পারায় খুলনা পায় ১৩৬ রানের মামুলি সংগ্রহ। যার জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ঝড় শুরু করেন নাসির হোসেন। তার ইনিংসের ওপর ভর করেই ১৮ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পায় রংপুর। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় মৌসুমে শিরোপাটি জিতল দলটি। গত মৌসুমের ফাইনালে ঢাকা মহানগরকে হারিয়েছিল রংপুর।
সিলেটে হওয়া এই ফাইনাল ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নেন রংপুর অধিনায়ক আকবর আলী। শুরু থেকেই খুলনার ব্যাটারদের চাপে রাখেন রংপুরের বোলাররা। ওপেনিংয়ে নেমে ২২ বলে মাত্র ৮ রান করে আউট হন সৌম্য। আরেক ওপেনার ইমরানুজ্জামান কোনো রান করার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। ১৫ বলে মাত্র ১২ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন বিজয়।
খুলনার হয়ে একমাত্র মোহাম্মদ মিথুনই বড় রান পান। চার নম্বরে নেমে ৩২ বলে ১টি চার ও ৩ ছক্কায় ৪৪ রান করেন তিনি। সাত নম্বরে নামা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ১৩ বলে ২৪ রান করলে কিছুটা লড়াই করার মতো পুঁজি পায় খুলনা। আফিফ হোসেন, শেখ পারভেজ জীবনরাও ছিলেন ব্যর্থ।
রংপুরের হয়ে এদিন বল করেন ৮ জন। ৪ ওভার বল করে নাসির হোসেন উইকেট না পেলেও ১ মেডেনসহ খরচ করেন মাত্র ১৯ রান। সর্বোচ্চ ২ উইকেট পেয়েছেন আব্দুল্লাহ আল মামুন। উইকেটের দেখা পেয়েছেন নাসুম আহমেদ, আবু হাশিম, ইকবাল হোসেন, মোহাম্মদ এনামুল ও আলাউদ্দিন বাবু।
মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় শুরু করেন নাসির। আরেক প্রান্তে জাহিদ জাভেদ ধীরস্থির হয়ে খেললেও নাসিরের ব্যাটে ছিল চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি। দলীয় ৬১ রানে আউট হন ২৪ বলে ২৭ রান করা জাহিদ। তখন ইনিংসের পেরিয়েছে ৪২ বল। দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে দলীয় ৮৪ রানে ফেরেন নাসির। ততক্ষণে ইনিংসের সুর বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ৩১ বলে ৫টি চার ও ১ ছক্কায় ৪৬ রান করেন তিনি।
২ উইকেট পতনের পর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি আবু হাশিম ও নাইম ইসলাম। ৩২ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন হাশিম। এর মধ্যে অভিষেক দাসের করা ১৭তম ওভারেই তোলেন ১৭ রান। আরেক পাশে ১৫ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম ইসলাম।