ময়মনসিংহ অঞ্চলের পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘট তুলে নিয়েছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ইউনিয়ন। আগামীকাল সোমবার সকাল থেকে রোডটিতে বাস চলাচল শুরু হবে।
জুলাইযোদ্ধাকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার শ্রমিকের মুক্তি, ইউনাইটেড পরিবহনের ১৬ বাস বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন শ্রমিকরা।
জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে রোববার রাতে জানান ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর মাহমুদ আলম।
অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ ও আহত সেলের ময়মনসিংহ বিভাগের সমন্বয়কারী আল নূর আয়াস বলেন, আমরা জনভোগান্তির কথা চিন্তা করে আগে থেকেই বাস চালানোর কথা বলেছিলাম। তারা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে সেটা ভাল হয়েছে।
তবে জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদ সাগর হত্যা মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগের জেলার সহসভাপতি আমিনুল হক শামীমের মালিকানাধীন ইউনাইটেড সার্ভিসের ১৬টি বাস বন্ধের দাবি ছিল বৈষম্যবিরোধীদের। তবে, মালিকপক্ষ সেগুলো চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আল নূর আয়াস বলেন, বাসগুলো চলার কথা না। যদি আমাদের দাবি না মানা হয়, তাহলে পরবর্তীতে আমরা দেখব।
পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহারের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মুফিদুল আলম জানান, জনদুর্ভোগ বিবেচনায় সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে চলমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা নিরসনের লক্ষ্যে ৬ সদস্যের একটি কমিটি কাজ করবে। তাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রশাসনের আহ্বানে এই সভায় জেলা মটর মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন, প্রশাসন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম বলেন, জনদুর্ভোগকে প্রাধান্য দিয়ে সংশ্লিষ্টরা পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। তবে অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি মো. আলমগীর মাহমুদ আলম বলেন, আলোচনার মাধ্যমে শ্রমিকদের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে। এখন থেকে সব সড়কে সব ধরনের বাস চলাচল করবে। এতে কোনও ধরনের যাত্রী ভোগান্তি থাকবে না বলে আশা করছি।
ধর্মঘটের কারণে শনিবার দিনের কিছু অংশ এবং রোববার সকাল থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ পথে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
রোববার সকাল থেকে ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, শেরপুর, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জের (আংশিক) শ্রমিকরা পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেন। চার জেলার বাসও ময়মনসিংহ হয়েই ঢাকায় আসতে হয়। ফলে নেত্রকোণা, শেরপুর, জামালপুর ও কিশোরগঞ্জ থেকেও কোনো বাস ছাড়েনি।