মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্টঃ
ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর পোস্তগোলা এলাকায় একটি অত্যাধুনিক লঞ্চ টার্মিনাল নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। মঙ্গলবার রাজধানীতে এসোসিয়েশন ফর ল’ রিসার্চ এন্ড হিউম্যান রাইটস (এলার্ট) আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে নৌ পরিবহন মন্ত্রী এ ঘোষণা দেন।নদী ও আমাদের অর্থনীতি’-শীর্ষক ওই গোল টেবিল বৈঠকে মন্ত্রী জানান, সদরঘাটসহ ১৪টি ফেরিঘাট ও লঞ্চঘাটসমূহের ইজারাদারি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়ায় যাত্রীসেবা বৃদ্ধি পেয়েছে। যারা নদী দখল ও দূষণ করে তাদেরকে মন্ত্রী নিষ্ঠুর, বর্বর ও এ যুগের রাজাকার বলে আখ্যায়িত করেন।
শাহজাহান খান আশা প্রকাশ করে বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে নদীর দূষণরোধের প্রাথমিক সুফলগুলো দেখা যাবে। বাংলাদেশের নদীর দূষণরোধে সরকার মনিটরিং কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী এ কমিটিকে সহযোগিতা করবে।
দেশে এক সময় ২৪ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ ছিল। নদী দখল, দূষণ ও বাধের কারণে বর্তমানে শুষ্ক মৌসুমে ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার এবং বর্ষা মৌসুমে ৬ হাজার ২০০ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। তবে বর্তমান সরকারের বিগত ২০০৯-১৩ মেয়াদে বিআইডব্লিউটিএ এর উদ্যেগে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার নৌ-পথ খনন করা হয়েছে।
নদী খননের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেজারের প্রয়োজন উল্লেখ করে শাজাহান খান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বিআইডব্লিউটিএ-কে ৭টি ড্রেজার দিয়েছিলেন। তারপরে আর কোন সরকারই বিআইডব্লিউটিএ-কে ড্রেজার কিনে দেয়নি। আওয়ামী লীগ সরকার তার গত মেয়াদে ১৪টি ড্রেজার উপহার দিয়েছে। বর্তমান মন্ত্রী নতুন করে আরো ২০টি ড্রেজার সংগ্রহের চেষ্টা করছেন বলে জানান।
বর্তমানে ২৪টি নৌ-পথ ও ১২টি বিশেষায়িত নৌ-পথ খনন কার্যক্রম চালু রয়েছে। এ ৩৬টি নৌপথ ছাড়াও আরো ১৭টি নৌপথ ১১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে খনন করা হবে বলে জানান তিনি।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ১২-১০-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব