কিশোরগঞ্জের ভৈরব স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামিয়ে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। ভৈরবকে জেলা ঘোষণার দাবিতে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে এ ঘটনা ঘটান স্থানীয় বিক্ষোভকারীরা।
আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভৈরব বাজার রেলওয়ে জংশনে চলে অবরোধ কর্মসূচি।
অবরোধের এক পর্যায়ে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব স্টেশনে আটকা পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেনটি ছাড়তে চাইলে অবরোধকারীরা তাতে পাথর ছুড়তে থাকে।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহম্মেদ পাথর ছোড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, 'অবরোধকারীরা ট্রেন থামিয়ে কর্মসূচি পালন করছিল। উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছাড়তে চাইলে অবরোধকারীরা অনবরত সেটি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকে।'
'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে,' বলেন তিনি।
ট্রেনে পাথর ছোড়ার বিষয়ে জানতে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীদের অন্যতম সাবেক বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা মো. শাহরিয়ারকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কিছু উস্কানিদাতার জন্য এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা কোনো সহিংসতার পক্ষে নেই। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের দাবি আদায় করতে চাই।'
উল্লেখ্য, ভৈরব উপজেলাকে জেলা ঘোষণার দাবিতে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ভৈরবের দুর্জয় মোড়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক বন্ধ করে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এ সময় মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
আগামীকাল মঙ্গলবারও ভৈরবের মেঘনা নদীতে নৌপথ অবরোধের কথা জানিয়েছেন অবরোধকারীরা।