প্রায় ১৭ বছর আগে খুলনা নগরে জোড়া খুনের মামলায় সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন দুইজন।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক সুমি আহমেদ চার আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী শুভেন্দু রায় চৌধুরী এ তথ্য জানান।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়ারা হলেন- ইমামুল কবীর জীবন (পলাতক), রাজ, শহীদ শাহারিয়ার মিথুন, তুষার গাজী, সোয়েব সুমন (পলাতক), শাকিল (পলাতক) এবং তুহিন। খালাস পেয়েছেন কুটি এবং শামীম।
২০০৯ সালের ৩ জানুয়ারি দৌলতপুরের দেয়ানা সবুজ সংঘ মাঠের কাছে সন্ত্রাসীরা গুলি করে ও কুপিয়ে পারভেজ হাওলাদারকে ফেলে রেখে যায়। পারভেজের চিৎকারে পাশের বাড়ি থেকে দিলীপ কুমার সাহা, তার স্ত্রী ও মেয়েরা পারভেজকে এগিয়ে আসেন। এ সময় সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। তখন দিলীপ সাহা, সুপর্ণা সাহা, রেখা সাহা ও পিংকি সাহা গুলিবিদ্ধ হন। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার পর পারভেজ হাওলাদার ও সুপর্ণা সাহা মারা যান। এ ঘটনার পরদিন পারভেজের বাবা নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ প্রথম আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, ২০০৯ সাল থেকে মামলার বিচার কাজ চলছে। আদালত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে যে রায় দিয়েছেন, তাতে আমরা সন্তুষ্ট।