muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

রাজনীতি

জনমনে সংশয়, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে: তারেক রহমান

জনমনে সংশয়, যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে: তারেক রহমান

জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রে উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

শেষ পর্যন্ত কোনো অগণতান্ত্রিক কিংবা অপশক্তির কাছে বিনা শর্তে আত্মসমর্পণের পথে হাঁটতে হয় কি না, এমন শঙ্কাও জানিয়েছেন তারেক রহমান। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে মাঠে থাকা সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলকে এমন বিপদের কথাও স্মরণ রাখার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রবাসে বিএনপির সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তারেক রহমান। লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিএনপি।

তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করার পরও প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্যনতুন শর্তজুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পলাতক স্বৈরাচারের শাসনামলে জনমনে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনোই আগ্রহ ছিল না। আর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় জনমনে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জিজ্ঞাসা বাড়ছে। যথাসময়ে কি নির্বাচন হবে? নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে জনমনে সৃষ্ট সংশয়, সন্দেহ গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে সংকটপূর্ণ করে তুলতে পারে। একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শুরু থেকেই ফ্যাসিবাদীবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ ছাড় দিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতার পথ বেছে নিয়েছে। অপরদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও যতটুকু সম্ভব আমাদের অবস্থান থেকে সহযোগিতা করে আসছি। অথচ আমরা দেখছি, প্রতিনিয়ত একের পর এক নিত্যনতুন শর্তজুড়ে দিয়ে গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সংকটাপূর্ণ করে তোলা হচ্ছে। এর পরিণীতি সম্পর্কে সতর্ক থাকা অবশ্যই প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিএনপি দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে। তবে বিএনপি প্রতি দেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা প্রিয় জনগণের আকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা অধিকাংশ সময় প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। জনগণের কাছে বিএনপি একটি বিশ্বস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। শহীদ জিয়ার সময় বিএনপি এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সময় রাষ্ট্রপতি শাসন ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় নিয়ে এসেছে।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদ আমলের বর্ণনা দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, শুধুমাত্র বিএনপির বিজয় ঠেকাতে গিয়ে পতিত পরাজিত পলাতক স্বৈরাচার দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছিল। দেশের নির্বাচনি ব্যবস্থাকে বিগত ১৫ বছরে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছিল। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে- ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশেও বর্তমানে বিএনপির বিজয় ঠেকাতে সংঘবদ্ধ অপপ্রচার ও কৌশল দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, জাতীয়তাবাদী শক্তিতে বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে কোনো ষড়যন্ত্রই বিএনপিকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব হুমায়ুন কবির, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Tags: