বগুড়া সদর উপজেলার নুনগোলা ইউনিয়নের হাজরাদিঘী গ্রামে ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পরকীয়া সম্পর্ক গোপন রাখতে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে স্ত্রী স্বামীকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গত সোমবার রাতে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্ত্রী শামীমা বেগম খাবারে প্রায় ১৫টি ঘুমের বড়ি মিশিয়ে দেন। জহুরুল ইসলাম অচেতন হয়ে পড়লে রাতের আঁধারে তার প্রেমিক বিপুলকে ঘরে ঢুকতে দেন শামীমা। এরপর দুজন মিলে জহুরুলকে ধানক্ষেতে নিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান।
জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে শামীমা ও বিপুল হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। দীর্ঘদিনের পরকীয়া সম্পর্ক গোপন রাখতে এবং একসঙ্গে থাকার জন্যই তারা হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ ইতোমধ্যে হত্যায় ব্যবহৃত ঘুমের ওষুধসহ গুরুত্বপূর্ণ আলামত জব্দ করেছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নিহত জহুরুল ইসলামের এক ছেলে (১০) ও এক মেয়ে (৬) রয়েছে। তিনি স্থানীয়ভাবে একটি বেকারির ব্যবসা পরিচালনা করতেন।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এ ঘটনা পুরো এলাকায় আতঙ্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় আগে কখনো ঘটেনি।
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার রাতে নিখোঁজ হওয়ার পর মঙ্গলবার সকালে হাজরাদিঘী তালুকদারপাড়ার একটি ধানক্ষেত থেকে জহুরুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।