muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনে কর্মরত ৪ টিকিং বুকিংদের মাসিক অবৈধ আয় ১১ লাখ টাকা

kg
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশনে কর্মরত ৪ টিকিট বুকিং মাস্টারদের মাসিক অবৈধ আয় ১১ লাখ টাকা। সরজমিনে ঘুরে দেখা যায় ঈদকে সামনে রেখে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুলিশের বসানো চেক পোস্ট এর তথ্য অনুসারে শুধু অবৈধভাবে টিকিট বুকিং মাস্টারদের দৈনিক আন্তঃনগর ট্রেনের ৬১৪টি টিকেট থেকে সরকারি মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ২০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত জোর পূর্বক যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়ার তথ্য প্রমাণিত হওয়ার পরও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উদাসিন রয়েছে।

কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশান মাস্টার জয়ন্ত কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের তথ্য দিতে সময়মত আসতে অনুরোধ জানান এবং স্টেশনের বুকিং মাস্টার দেলোয়ার অনেক তালবাহানার পর অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তথ্য মতে কিশোরগঞ্জ থেকে নিয়মিত ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন ঢাকা-চট্টগ্রাম যাতায়াত করে প্রতিদিন। ওই সব ট্রেনের সব মোট আসন সংখ্যা ৭শত ১১টি। পুলিশ বক্সের অভিযোগ প্রমাণিত হয় যে, কাউন্টারে দায়িত্বে থাকা রাসেল, রেদাউল করিম, খালেক, আকন্দ, কালাম ও বুকিং মাস্টার দেলোয়ারের যোগসাজসে প্রতিটি টিকেট থেকে ২০, ৪০, ৮০ ও ১০০ টাকা হারে দৈনিক অতিরিক্ত টাকা ফায়দা লুটছে তারা। ঐ হিসাবে গড়ে ৭শত ১১টি টিকেট থেকে দৈনিক ৫০ টাকা হারে ৩ হাজার ৫শত ৫৫ টাকা আদায় করছে তারা ও মাসিক ১০ লক্ষ ৬ হাজার ৬শত ৫০ টাকা অবৈধভাবে লুটে নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে জানতে কাউন্টারে প্রবেশ করেই পাওয়া যায় কম্পিউটার অপারেটর রাসেলকে। ২০ থেকে ৪০ টাকা অতিরিক্ত নেয়ার বাস্তব চিত্রটি সাংবাদিকদের চোখে ধরা পড়ে তখনই এবং রাসেল মাইক অপারেটরকে বলে, যাত্রীদের অবগতির জন্য টিকেট সংগ্রহকৃত যাত্রীদের পুলিশ থেকে দূরে থাকার অনুরোধ জানিয়ে মাইকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে কম্পিউটার অপারেটর রাসেলকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমি এখানকার স্থানীয় লোক। স্টেশনের চাকুরীজীবি, এখানে কর্মরত টিকেট বুকিং মাস্টাররা প্রতি টিকেট থেকে ২০ থেকে ৪০ টাকা যেন অতিরিক্ত নিতে না পারে তার জন্যই আমি এখানে রয়েছি। তবে অন্যরাও অতিরিক্ত টাকা নেয় বলে তিনি স্বীকার করেন।

০৭ জুলাই ২০১৫/ নিঝুম

Tags: