মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্টঃ
প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, সরকার মাথাপিছু ডিমের কনজাম্পশন বছরে ১০৪টিতে উন্নীত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। ২০১৭ সাল থেকে ‘প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ’ পালন করার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ এ খাদ্যগুলোর জন্য আমরা বিদেশের উপর নির্ভরশীল হতে চাইনা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘বিশ্ব ডিম দিবসে’র এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) যৌথভাবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. প্রিয় মোহন দাস এবং পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের প্রফেসর ড. সুভাষ চন্দ্র দাস। সঞ্চালক ছিলেন বিপিআইসিসি’র কোষাধ্যক্ষ ডা. নজরুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক আরো বলেন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করতে হলে সবার আগে মা ও শিশুদের পুষ্টিহীনতা দূর করতে হবে। দেশীয় পোল্ট্রি শিল্পের উন্নয়নের স্বার্থেই ডিম (টেবিল এগ) আমদানি নিষিদ্ধ করে রেখেছে সরকার।
তিনি বলেন, দেশ থেকে অপুষ্টি দূর করতে সরকার বদ্ধপরিকর। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। দুধের ঘাটতি পূরণে সরকার বেশকিছু পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট প্রাণিজ আমিষের প্রায় ৪৫ শতাংশ আসছে পোল্ট্রি খাত থেকে। ২০১৭ সাল থেকে ‘প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেন মন্ত্রী।
সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মৎস্য ভবন পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য পোল্ট্রি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং পোল্ট্রি খামারি ও উদ্যোক্তাসহ মোট প্রায় ৫ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর পাশাপাশি চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগে পোল্ট্রি শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গাজীপুরসহ দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও অনাথ শিশুদের মাঝে এক লাখ ডিম বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম / ১৪-১০-২০১৬ ইং/মোঃ হাছিব
Tags: