আমতলী উপজেলার আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের পশুরবুনিয়া গ্রামে পিতার নিকট বেড়াতে এসে হাসানুর রহমান পান্না (১৩) নামে এক শিশু নিঁখোজ হয়। নিঁখোজের একদিন পর গ্রাম সংলগ্ন পায়রা নদী থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে আমতলী থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে ওই শিশুটি নিঁখোজ হয়। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত পান্নার বাড়ি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার খাজরা গ্রামে। তার বাবার নাম সফিকুল ইসলাম গাজী। স্থানীয়রা সূত্রে জানা গেছে, ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষার জন্য পায়রা নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক নির্মাণ কাজ চলছে। কাজ করছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জাকির এন্টারপ্রাইজ। ওই প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করছেন বাবা সফিকুল ইসলাম গাজী। বাবার কাছে ১০ দিন আগে বেড়াতে আসেন শিশু পুত্র পান্না। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নিখোঁজ হয় সে। নিঁখোজের পর রাতভর খোঁজাখুঁজির পরও না পেয়ে স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করা হয়। নিখোঁজের একদিন পর শনিবার সন্ধ্যায় পায়রা নদীর পাড়ে জিও ব্যাগের ফাঁকে পান্নার লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শিশুটির বাবা সফিকুল ইসলাম গাজী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেল। বেড়াতে এসে ছেলেটা কীভাবে মারা গেল তা বুঝতে পারছি না। আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।