তালাকপ্রাপ্তা এক তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিন বছর শারীরিক শোষণের অভিযোগে মো. রুবেল মুন্সী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তরুণী এ মামলা করেন। মামলাটি গ্রহণ করে জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাত দিনের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযুক্ত রুবেল মুন্সী (২৮) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বাইনচটকী গ্রামের রুস্তুম আলী মুন্সীর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি রনজুয়ারা সিপু। মামলার অভিযোগে জানা যায়, বাদী ও আসামী পরস্পর প্রতিবেশী। চার বছর আগে বাদীর তালাক হয়। এরপর আসামী রুবেল তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাওয়া-আসা করতেন এবং বিভিন্ন সময় সহযোগিতার মাধ্যমে পরিবারটির বিশ্বাস অর্জন করেন। প্রায় তিন বছর আগে তিনি তরুণীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় মৌলভী ও কোরআন শরিফ সাক্ষী রেখে গোপনে বিয়ে করেন। পরে তরুণীকে ঢাকায় নিয়ে বাসা ভাড়া করে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তিন বছর একসঙ্গে বসবাস করেন। ভুক্তভোগী তরুণী জানান, তিন বছর ধরে বারবার কাবিননামা চাইলেও রুবেল সময়ক্ষেপণ করতেন। কিছুদিন আগে বাবার বাড়িতে আসার পর গত ১৪ নভেম্বর তিনি ও তার বাবা আবার কাবিন রেজিস্ট্রির কথা তুললে রুবেল সম্পর্ক অস্বীকার করে বলেন, তিনি কোনোদিনই বিয়ে করেননি। এরপর তিনি সেখান থেকে চলে যান। তরুণীর অভিযোগ, তিন বছর সংসার করার পর এখন রুবেল বিয়েই অস্বীকার করছে এবং তাকে প্রতারণার মাধ্যমে শারীরিক সম্পর্ক করেছে। এ বিষয়ে বরগুনা জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ পেলেই তদন্ত শুরু করা হবে। বাদীর দেওয়া নম্বরে রুবেলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।