বিনোদন ডেস্কঃ
পর্নোগ্রাফির অন্ধকার দিক নিয়ে কথা বললেন সাবেক প্লেবয় মডেল এবং ‘বেওয়াচ’ সিরিজ খ্যাত হলিউড অভিনেত্রী পামেলা অ্যান্ডারসন।
মার্কিন টিভি শো ‘দিস মর্নিং’-এ কথাগুলো বলেন এই অভিনেত্রী। পামেলা জানান, তিনি রুচিশীল যৌনকর্মে আগ্রহী। অনুষ্ঠানে এ অভিনেত্রীর সঙ্গে ছিলেন মার্কিন ইহুদি লেখক মুলে বোটিচ। পুরুষদের পর্নোগ্রাফির উপর ঝোঁকের খারাপ দিক সবার সামনে তুলে ধরতেই তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আপনি কি কখনো বিছানায় পর্নো তারকার মতো ব্যবহার পেয়েছেন? এটা কোনো মজার বিষয় নয়। থাপ্পড় দেওয়া, সেক্স গেম এগুলোই এখনকার যৌনকর্ম।’
এ সময় অনুষ্ঠানের সঞ্চালক রুথ ল্যাংসফোর্ড পামেলা অ্যান্ডারসনকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কী কখনো এ রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছেন? জবাবে দুই সন্তানের জননী পামেলা বলেন, ‘আমি এরকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি কিন্তু আমার সঙ্গে এমনটা আর হতে দেব না।’
‘আমি মনে করি মানুষ আমার উপর পর্নো তারকার ইমেজটা দিয়ে দিয়েছেন। তারা ভেবেই নেয় আমি বন্য। আমি তখন বুঝে ফেলি, সে পর্নো আসক্ত। বিছানায় একজন নারী শুয়ে রয়েছেন আর পুরুষটি বাথরুমের দরজা আটকে কম্পিউটারে পর্নো দেখছেন, এখন এমনটাই হচ্ছে।’ বলেন পামেলা।
নব্বইয়ের দশকে পামেলার দুটি সেক্স টেপও ফাঁস হয়েছিল। প্রথমটি ফাঁস হয় ১৯৯৫ সালে সাবেক স্বামী টমি লির সঙ্গে। আর দ্বিতীয়টি ছিল বর্তমান স্বামী ব্রেট মিখায়েলের সঙ্গে।
এছাড়া প্লেবয় ম্যাগাজিনে পোজ দিয়েছেন তিনি এ কারণেই তার প্রতি মানুষের এ ধারণা বলে মনে করেন এ অভিনেত্রী। কিন্তু প্লেবয় ম্যাগাজিনে পোজ দেওয়ার বিষয়টি রোমান্টিক বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যৌন সম্পর্কের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই যৌনকর্মের ব্যাপারে মনোভাব পরিবর্তন হোক। যৌন সম্পর্ক মানে রুচিশীল যৌনকর্ম। আমরা যৌনকর্মের ব্যাপারে না করছি না। বরং রুচিশীল যৌনকর্মের কথা বলছি।’
এর আগে মুলে বোটিচের সঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের জন্য লেখা ‘টেক দ্য প্লেজ : নো মোর ইনডালজিং পর্নো’ শিরোনামের একটি নিবন্ধে পামেলা পাঠকদের পর্নোগ্রাফি না দেখার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। ৪৯ বছর বয়সি পামেলা মনে করেন যারা পর্নো দেখে তারা ‘অক্ষম ব্যক্তি।’
পামেলা লিখেছিলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েদের অবশ্যই এই বিষয়টি বোঝাতে হবে যে, পর্নোগ্রাফি অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য। এটি খুবই বিরক্তিকর, প্রচুর সময়ের অপচয় হয়। এটি ওই সব অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য যারা স্বাস্থ্যকর যৌনতার প্রাচুর্য্যপূর্ণ সুফল ভোগে অক্ষম। তারা এতটাই অলস, স্বাভাবিক যৌনতার জন্য যে প্রচুর পরিমাণ পরিশ্রম করতে হয় এবং ত্যাগ স্বীকার করতে হয় তারা তাও করতে চায় না।’
পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে সোচ্চার এই তারকা যুক্তি দেখান, ‘পর্নোগ্রাফি মানুষের মনের ওপর প্রভাব ফেলে এবং একজন কার্যক্ষম স্বামী হিসেবে এবং বাবা হওয়ার ব্যাপারে তাকে অক্ষম করে তোলে।’