মো. আরিফুল ইসলাম, বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা ।।
বাজিতপুরসহ ভাটি এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার দ্বার উন্মোচনকারী প্রথম প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী বাজিতপুর কলেজ। ১৮৬৯ খ্রিস্টাব্দে স্থাপিত ও ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত বাজিতপুর কলেজটি ১১ একর ভূমি নিয়ে পৌরশহরের বসন্তপুর গ্রামে অবস্থিত। জহুরুল ইসলাম এডুকেশন কমপ্লেক্স-এর আওতাধীন বাজিতপুর কলেজটি বৃহত্তর ময়মনসিংহের উচ্চশিক্ষা দানকারী ৮ম প্রতিষ্ঠান। কলেজটির অগ্রযাত্রা শুরু ১৯৬৪ সালে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষাকার্যে পাঠদানের মধ্য দিয়ে। ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ, বিএসসি ও বিকম এবং ১৯৯১ সালে বিএসসি কোর্সে পাঠদানের মধ্য দিয়ে হাওর অঞ্চলে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পূর্ণাঙ্গ ডিগ্রি কলেজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ঐতিহ্যবাহী এ কলেজটি।
স্থানীয় সংসদ সদস্য (চলতি) আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেনের প্রাণপণ চেষ্টায় ২০১১-২০১২ ও ২০১৩-২০১৪ সেশনে ৪টি বিষয়ে অনার্স কোর্স চালু হয়েছে। গৌরবের ৫১ বছরে পা রাখা প্রকৃতির মনোরম পরিবেশে অবস্থিত কলেজটিতে রয়েছে বিশাল ২টি দ্বিতল ভবন, একটি ৪তলাবিশিষ্ট নির্মাণাধীন আইসিটি ভবন (নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ), ১টি শিক্ষক মিলনায়তন, ১টি ছাত্র ও ১টি ছাত্রী নিবাস, ১টি বিশাল খেলার মাঠ, ১টি মসজিদ, ১টি শহীদ মিনার, বিভিন্ন বিষয়ের পুস্তকসহ বিপুল পরিমাণ পুস্তকে সমৃদ্ধ ১টি গ্রন্হাগার, ১টি কম্পিউটার ল্যাব, ৬টি বিজ্ঞান গবেষণাগার, ১টি ফুলের বাগান, ছাত্র ও ছাত্রীর জন্য পৃথক ২টি মিলনায়তন, ১টি বিএনসিসি প্লাটুন, ১টি রোভার স্কাউট ইউনিট, ১টি গার্ল ইন রোভার স্কাউট ইউনিট ইত্যাদি। বর্তমানে কলেজটিতে প্রায় ২৬০০ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত ও ৬১ জন শিক্ষক-কর্মরর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। দিবসভিত্তিক কার্যক্রম ও পুথিঁগত শিক্ষার পাশাপাশি বাজিতপুর কলেজের শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা, সংগীত, আবৃত্তি, বক্তৃতা, বির্তক, সাহিত্য চর্চা, অভিনয়সহ বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমেও পারদর্শী। বাজিতপুরসহ ভাটিবাসীর লালিত স্বপ্ন পূরণে আলহাজ্ব মো. আফজাল হোসেনের ভূয়সী নেতৃত্বে কলেজ অতি শীঘ্রই সরকারীকরণ হবে।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/১৭-১০-২০১৬ইং/ অর্থ