আশরাফ আলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
গত ১৯ অক্টোবর ২০১৬ তারিখ বুধবার বিকাল ৩:৩০ টায় বাল্যবিবাহ নিরোধে করণীয় বিষয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ইউপি সচিব ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের সাথে মত বিনিময় করলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো.আক্তার জামীল। কালেক্টরেটের ৩য় শ্রেণীর কর্মচারী ক্লাবের মিলনায়তনে তিনি এ মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় কালে পাকুন্দিয়া উপজেলার ইউপি সচিবরা জানান বাল্যবিবাহ রোধে জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে তারা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশী সচেতন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো.আক্তার জামীল কর্তৃক সম্প্রতি জেলায় বেশ কিছু বাল্য বিবাহ প্রতিরোধের খবর তারা পত্রিকার পাতায় দেখেছেন। ফলে যে কেউ এসে বয়স বাড়িয়ে যাতে জন্ম সনদ নিতে না পারে সেজন্য তারা তৎপর রয়েছেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরফদার মো.আক্তার জামীল বলেন, এভিডেভিট করে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দেয়া অবৈধ। তিনি বাল্য বিবাহরে কুফল, বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত আইন, সরকারের নির্দেশনা এবং বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা প্রশাসনের জিরো টলারেন্স অবস্থানের বিষয়টি উপস্থিত ইউপি সচিব ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদেরকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, যখন কেউ এসে ১৮ হতে ১৯ বছর কোনো মেয়ের জন্মসনদ চায় তখন বুঝতে হবে মেয়েটির বিয়ে দেবার জন্যই সম্ভবত: সনদটি চাওয়া হচ্ছে। তখন সাথে সাথে তার জন্মসনদটি না দিয়ে মেয়েটিকে স্ব-শরীরে দেখে জন্মসনদ দিলে অনেকক্ষেত্রে বাল্যবিবাহ এড়ানো সম্ভব। আর এ বয়সী মেয়েদের জন্ম সনদের জন্য তো আর প্রতিদিন শত শত আবেদন আসে না।ইউপি সচিবরা একটু সচেতন হলেই এটা রোধ করা সম্ভব। তিনি সকলকে আইন মেনে কাজ করার পরামর্শ দেন এবং বাল্যবিবাহ সংক্রান্ত যে কোন পরামর্শের জন্য জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/২২-১০-২০১৬ইং/ অর্থ